পরিদর্শনে পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমার। সোমবার। — নিজস্ব চিত্র
বেশির ভাগ মণ্ডপেই বড়জোর মিনিটখানেক। সোমবার সকালে মণ্ডপ পরিদর্শনে বেরিয়ে ঘুরতে ঘুরতে দেশপ্রিয় পার্কে এসে হঠাৎ দাঁড়িয়ে পড়লেন পুলিশ কমিশনার। মাঠে ঢোকার আগে ঘুরে দেখলেন চারপাশ। মাঠে এসে সোজা ঢুকে গেলেন মণ্ডপে। প্রায় আধঘণ্টা ধরে ব্যবস্থাপনা ঘুরে দেখলেন তিনি। কথা বললেন পুজো উদ্যোক্তাদের সঙ্গেও।
সোমবার দুপুরে দেশপ্রিয় পার্কের মাঠে দাঁড়িয়ে কলকাতা পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমার বলেন, ‘‘এ বছর আমরা ভিড় সামলানোর পরিকল্পনায় কিছু বদল করেছি। ট্র্যাফিকের রুটেও কিছু পরিবর্তন করা হয়েছে। কথা বলেছি পুজো কমিটির সঙ্গেও।’’ তাঁর আশ্বাস, এ বছর আর গত বছরের মতো সমস্যা হবে না। পুলিশ কমিশনারের কথাবার্তায় পরিষ্কার ইঙ্গিত, এ বছর দেশপ্রিয় পার্কের পুজোকে আলাদা গুরুত্ব দিচ্ছে লালবাজার।
সোমবার দুপুর বারোটা নাগাদ কসবা বোসপুকুর শীতলা মন্দির থেকে মণ্ডপ পরিদর্শন শুরু করেছিলেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমার। বিভিন্ন মণ্ডপ ঘুরতে ঘুরতে তিনি আসেন দেশপ্রিয় পার্কে। সঙ্গী যুগ্ম কমিশনার (সদর) সুপ্রতিম সরকার মনে করিয়ে দেন, গত বছরে এই পুজো নিয়ে পুলিশ ও জনসাধারণের নাকাল হওয়ার কথা। রাস্তা আটকে এমনই অবস্থা হয়েছিল যে, পঞ্চমীর দিন পুলিশ কমিশনারকে মেট্রো করে আসতে হয়েছিল এই পুজোয়। শেষ পর্যন্ত পরিস্থিতি সামাল দিতে সম্পূর্ণ বন্ধ করে দিতে হয় এই পুজো।
পুলিশকর্তাদের সঙ্গে কি কথা হল পুজো উদ্যোক্তাদের? দেশপ্রিয় পার্কের পুজো উদ্যোক্তা সুদীপ্ত কুমার বলেন, ‘‘পুরো ব্যবস্থাপনা ঘুরে দেখে নিজের সন্তোষ প্রকাশ করেছেন কমিশনার। সঙ্গে এও বলেছেন, পরিস্থিতি অনুযায়ী পরে দরকার হলে তিনি আমাদের নির্দেশ দেবেন।’’ তাঁর কথায়, গত বারের এত পরিকল্পনা সত্ত্বেও শেষ পর্যন্ত পুজো ভেস্তে যাওয়ায় মন খারাপ হয়েছিল তাঁদের সকলেরই। তাই এ বার মাস তিনেক আগে থেকেই পুলিশের পরামর্শ নিয়ে সমস্ত ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাই এ বছর তাঁরা শুধু পুজো ঠিকঠাক উতরে যাওয়ার অপেক্ষায়।
দেশপ্রিয় পার্ক ছা়ড়াও এ দিন শহরের উত্তর ও দক্ষিণে আরও বেশ কয়েকটি পুজোর ব্যবস্থাপনা ঘুরে দেখেন পুলিশ কমিশনার। আজ, মঙ্গলবার তিনি শহরের গুরুত্বপূর্ণ পুজো মণ্ডপগুলি পরিদর্শন করবেন বলে লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে।