‘সাউন্ড লিমিটর’ কি লাগানো হয়, উঠছে সেই প্রশ্নও

দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের কর্তাদের একটা বড় অংশের অবশ্য বক্তব্য, মাইক, ডিজে নিয়ে এত প্রচার হয়েছে যে, মানুষ এ সম্পর্কে বেশি সচেতন হয়ে পড়েছেন। তাই কোথাও সামান্য জোরে আওয়াজ হলেই তা নিয়ে অভিযোগ দায়ের হচ্ছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৯ অক্টোবর ২০১৯ ০২:০৮
Share:

প্রতীকী ছবি।

মাইক্রোফোনে ‘সাউন্ড লিমিটর’ লাগানো বাধ্যতামূলক। কালীপুজোর আগেই তা জানিয়ে দিয়েছিল রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। দেখা গেল, শব্দবাজির পাশাপাশি এ বার মাইক, ডিজে নিয়েও গুচ্ছ অভিযোগ জমা হয়েছে পর্ষদে। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, তা হলে কি মাইক্রোফোনে সাউন্ড লিমিটর লাগানোর কথা শুধুই খাতায়-কলমে? বাস্তবে কেন তার কোনও প্রতিফলন ঘটল না?

Advertisement

দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের কর্তাদের একটা বড় অংশের অবশ্য বক্তব্য, মাইক, ডিজে নিয়ে এত প্রচার হয়েছে যে, মানুষ এ সম্পর্কে বেশি সচেতন হয়ে পড়েছেন। তাই কোথাও সামান্য জোরে আওয়াজ হলেই তা নিয়ে অভিযোগ দায়ের হচ্ছে। যদিও পরিবেশকর্মীদের একাংশের পাল্টা বক্তব্য, মাইকের সমস্যা শব্দদূষণের ক্ষেত্রে ধারাবাহিক সমস্যা। ইদানীং সেটা আরও বেড়েছে। তার পিছনে শব্দবিধি ভেঙে মাইক বা ডিজে চালালেও যে কোনও শাস্তি হবে না, এই মনোভাবটাই আইনভঙ্গকারীদের ভিতরে কাজ করছে। যার ফল ভুগতে হচ্ছে আমজনতাকে।

দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের সদস্য-সচিব আইপিএস অফিসার রাজেশ কুমার অবশ্য এ বিষয়ে বলেন, ‘‘এটা একটা ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। সব জায়গায় সাউন্ড লিমিটর লাগানো একদিনে সম্ভব নয়। আমরা চেষ্টা করছি কোথায় কী ত্রুটি রয়েছে, তা দেখার।’’ যদিও প্রতি মাইক্রোফোনে আদৌ সাউন্ড লিমিটর লাগিয়ে শব্দ নিয়ন্ত্রণ সম্ভব কি না, সেই প্রশ্ন তুলেছেন পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত। তিনি বলেন, ‘‘মাইক্রোফোন যখন তৈরি হচ্ছে, তখনই শব্দবিধি প্রয়োগ করে তা তৈরি করতে হবে। সেটা প্রযুক্তিগত ভাবে করা সম্ভবও। জাতীয় পরিবেশ আদালতও কিন্তু উৎসেই শব্দবিধি প্রয়োগের জন্য বলেছিল। কিন্তু তা কোথাও হচ্ছে না বলেই সমস্যাও যাচ্ছে না।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement