ডালা ফিরতেই শুরু আগুন জ্বেলে রান্না

বাগড়ি মার্কেটে আগুন লাগার এক সপ্তাহ পরেই ঠিক উল্টো দিকের ফুটপাতে ফিরল ডালা। সঙ্গে ফিরল আগুনও। সোমবার থেকেই ফের চালু হয়ে গেল ডালার আশপাশে দাহ্য বস্তুর ঘাড়ের কাছেই উনুন জ্বালিয়ে ডিম টোস্ট তৈরি, পাম্প স্টোভ জ্বালিয়ে চা তৈরি করা।

Advertisement

আর্যভট্ট খান

শেষ আপডেট: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৪:৩৬
Share:

তথৈবচ: ক্যানিং স্ট্রিটের ফুটপাতে চায়ের দোকান। নিজস্ব চিত্র

বাগড়ি মার্কেটে আগুন লাগার এক সপ্তাহ পরেই ঠিক উল্টো দিকের ফুটপাতে ফিরল ডালা। সঙ্গে ফিরল আগুনও। সোমবার থেকেই ফের চালু হয়ে গেল ডালার আশপাশে দাহ্য বস্তুর ঘাড়ের কাছেই উনুন জ্বালিয়ে ডিম টোস্ট তৈরি, পাম্প স্টোভ জ্বালিয়ে চা তৈরি করা। বিধ্বংসী আগুন লাগার এক সপ্তাহের মধ্যেই বাগড়ির উল্টো দিকে ফের আগুন জ্বালানোর ঘটনায় রীতিমতো ক্ষুব্ধ দমকলও।

Advertisement

গত ১৫ই সেপ্টেম্বর মধ্যরাতে বিধ্বংসী আগুন লেগেছিল বাগড়ি মার্কেটে। তার পরে শুধু বাগড়ি মার্কেটই নয়, আশপাশের সব দোকানই নিরাপত্তার কারণে বন্ধ করে দিয়েছিল প্রশাসন। বাগড়ির পাশের ফুটপাতের ডালা তো বন্ধ ছিলই, বন্ধ ছিল তার ঠিক উল্টো দিকের ফুটপাতের মেহতা বিল্ডিংয়ের বাজারের সামনে বসা ডালাও। এ দিন থেকে মেহতা বিল্ডিংয়ের সামনের সব ডালা খুলে গেল। ডালাওয়ালারা বসলেন নিজেদের পসরা নিয়ে।

এ দিন দুপুরে ক্যানিং স্ট্রিটে গিয়ে দেখা গেল, ডালাওয়ালাদের সঙ্গে ফিরে এসেছে আগুনও। একটি ডিম টোস্টের দোকানের গনগনে উনুনের আঁচের পাশেই ডাঁই করে ডালায় রাখা রয়েছে প্লাস্টিকের প্যাকেট। বেশি হাওয়া দিলে ওই উনুনের আগুন চারদিক ঘিরে থাকা দাহ্য বস্তুতে গিয়ে লাগলে ফের বড় বিপদ হতে পারে জানেন সকলেই। তবু দোকানদারেদের আশ্বাস, এমন করেই তো চলছে এত বছর ধরে। আগুন যেন না ছড়ায়, সে জন্য শুধু উনুনের উপরে একটা কাঠের টুকরো রেখে দেন দোকানদারেরা। অন্য দিকে, চাওয়ালা শিবু যাদবের চায়ের দোকানে আবার পাম্প দেওয়া স্টোভ। সেই স্টোভ ভাল করে জ্বালাতে বেশি করে পাম্প করতেই দেখা গেল আগুনের শিখা রীতিমতো অনেকটা লাফিয়ে উঠছে। তার আশপাশটাও দাহ্য বস্তুতে ঠাসা।

Advertisement

বাগড়ি মার্কেটে আগুন নেভানোর কাজে গত সাত দিন ধরে ব্যস্ত ছিলেন দমকলের অফিসার শঙ্কর স্যানাল। ফুটপাতে আগুন ফিরে এসেছে জানতে পেরে তিনি রীতিমতো ক্ষুব্ধ। শঙ্করবাবু বলেন, ‘‘ওই সব ডালার

আশপাশে আগুন জ্বালানো যথেষ্ট বিপজ্জনক। চারদিকেই তো দাহ্য বস্তু। বাগড়িতে আগুন লাগার সাত দিনের মধ্যে আবার পুরনো ছবি ফিরে আসা মোটেই কাম্য নয়। তবে এলাকার আইন-শৃঙ্খলার বিষয়টি দেখার দায়িত্ব দমকলের নয়। স্থানীয় থানার দেখার কথা।’’ যেখানে ওই আগুন জ্বালানো হয়েছে, সেই এলাকাটি হেয়ার স্ট্রিট থানার অধীনে পড়ে। ওই থানার ওসি ইন্দ্রনীল চৌধুরী বলেন, ‘‘বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন