Death

ছেলের সঙ্গে হল না দেখা, দুর্ঘটনায় মৃত মা

পুলিশ সূত্রের খবর, সোনারপুর স্টেশনে চলন্ত ট্রেন থেকে নামতে গিয়ে প্ল্যাটফর্মে পড়ে যান মিনতিদেবী। তাঁর মাথায় চোট লাগে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতার

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ মার্চ ২০২০ ০৩:৩৭
Share:

প্রতীকী ছবি

করোনাভাইরাস-আতঙ্কে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে প্রতিবন্ধী ছেলের হস্টেল। তাই তাঁকে বাড়ি নিয়ে যেতে আসছিলেন মা। কিন্তু ছেলের কাছে পৌঁছনোর আগেই পথে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল ৪৮ বছরের মিনতি বর্মণের। সোমবার সকালে, সোনারপুর স্টেশনের ঘটনা। মৃতার বাড়ি মালদহ জেলার হবিবপুর থানা এলাকায়।

Advertisement

পুলিশ সূত্রের খবর, মিনতিদেবীর ছেলে জয়দীপ দৃষ্টিহীন। তিনি নরেন্দ্রপুরের একটি হস্টেলের আবাসিক। সম্প্রতি করোনা-সতর্কতার জন্য হস্টেল থেকে তাঁর বাড়িতে খবর দিয়ে জানানো হয়, হস্টেল বন্ধ থাকবে। আবাসিকদের বাড়ি নিয়ে যেতে বলা হয়। এ দিন ছেলেকে নিতেই নরেন্দ্রপুরে আসছিলেন মিনতিদেবী।

পুলিশ সূত্রের খবর, সোনারপুর স্টেশনে চলন্ত ট্রেন থেকে নামতে গিয়ে প্ল্যাটফর্মে পড়ে যান মিনতিদেবী। তাঁর মাথায় চোট লাগে। স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। এক তদন্তকারী অফিসার জানান, ওই মহিলার ব্যাগ থেকে জয়দীপ বর্মণ নামে এক যুবকের প্রতিবন্ধী শংসাপত্র উদ্ধার হয়। ওই শংসাপত্রের সূত্র ধরেই মহিলার পরিচয় জানা যায়। শংসাপত্রে লেখা জয়দীপের ঠিকানা অনুযায়ী হবিবপুর থানার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। এর পরে নরেন্দ্রপুরের ওই হস্টেলে গিয়ে জয়দীপের সঙ্গে কথা বলা হয়। পুলিশ সূত্রের খবর, রবিবার রাতে ট্রেনে ওঠেন মিনতিদেবী। এ দিন সকালে শিয়ালদহে নেমে সোনারপুরগামী ট্রেন ধরেন।

Advertisement

পুলিশ সূত্রের খবর, কয়েক বছর আগে মিনতিদেবীর স্বামী মারা যান। ছোট ছেলে জয়দীপ নরেন্দ্রপুরের ওই হস্টেলে থেকে কারিগরি প্রশিক্ষণ নিচ্ছিলেন। বড় ছেলে সুশান্ত দক্ষিণ ভারতে থাকেন। তিনি পেশায় রাজমিস্ত্রি। সোনারপুর জিআরপি সূত্রের খবর, সুশান্তের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। আজ, মঙ্গলবার মায়ের মৃতদেহ নিতে আসবেন তিনি। ময়না-তদন্তের জন্য দেহ এনআরএসে পাঠানো হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন