ফের জ্বরে আক্রান্ত হয়ে এক গৃহবধূর মৃত্যু হল কেষ্টপুরে। মৃতার নাম, লক্ষ্মী ঘোষ (৩৬)। যদিও রাত পর্যন্ত বিধাননগর পুরসভার কাছে এই বিষয়ে কোনও তথ্য নেই।
শুক্রবার দুপুরে বেলেঘাটার আই ডি হাসপাতালে ওই মহিলার মৃত্যু হয়। হাসপাতাল সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার বেশি রাতে ওই মহিলাকে ভর্তি করা হয়েছিল। শুক্রবার সকাল দশটার পরে তাঁর অবস্থার অবনতি হতে থাকে। দুপুর ২টো ৫০ মিনিটে তাঁর মৃত্যু হয়। মৃতার দেওর অমল ঘোষ জানান, গত ৪-৫ দিন ধরে জ্বরে ভুগছিলেন লক্ষ্মীদেবী। লেকটাউনের একটি বেসরকারি সংস্থা থেকে তাঁর রক্ত পরীক্ষা করা হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রক্ত পরীক্ষার রিপোর্ট হাতে আসে। তাতে ডেঙ্গি সংক্রমণের কথা জানা যায়। এর পরে চিকিৎসকের পরামর্শে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে বেলেঘাটা আই ডি হাসপাতালে ভর্তির আগে নিউ টাউন ও জোড়ামন্দিরের কাছে দু’টি হাসপাতাল থেকে ওই মহিলাকে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয়। অমলবাবুর দাবি, একটি হাসপাতালে শয্যা ছিল না, অন্যটিতে পরিকাঠামো ছিল না বলেই তাঁদের জানানো হয়েছিল।
মৃতার পরিবারের দাবি, শুক্রবার সকাল ৯টা পর্যন্ত লক্ষ্মীদেবী সুস্থ ছিলেন। সকালে হাসপাতালের খাবারও খেয়েছিলেন। এর পরেই শরীর খারাপ হতে থাকে। দুপুরে তাঁকে প্রথমে সিসিইউ-তে স্থানান্তরিত করা হয়। তার পরে ভেন্টিলেশনে দেওয়া হয়। অমলবাবু বলেন, ‘‘চিকিৎসকেরা বলছিলেন হার্ট ব্লক হয়ে গিয়েছে। এ ছাড়াও নানা সমস্যা দেখা দিয়েছে। তখন তাঁদের বললাম, ডেঙ্গি ধরা পড়েছিল প্রাইভেট সংস্থার রক্ত পরীক্ষায়। তাঁরা জানালেন, এই রোগে এমনই হয়।’’
লক্ষ্মীদেবী ডেঙ্গি রোগে মারা গিয়েছেন বলেই তাঁর পরিবারের দাবি। যদিও হাসপাতাল সূত্রের খবর, ডেথ সার্টিফিকেটে লেখা রয়েছে,
শক উইথ মেটাবলিক অ্যাসিডোসিস ইন আ কেস উইথ এন এস ওয়ান অ্যান্ড ফিভার।
লক্ষ্মীদেবীর স্বামী, এক মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে। এর আগেও কেষ্টপুরে জ্বরের সংক্রমণ ঘটেছে। মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। যদিও রাত পর্যন্ত বিধাননগর পুরসভার কাছে এই মৃত্যু সম্পর্কে তথ্য পৌঁছয়নি। মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) প্রণয় রায় বলেন, ‘‘খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে। মশা ও মশাবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণে পুরসভা সাধ্যমতো চেষ্টা চালাচ্ছে।’’