অসুস্থ তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ, ধৃত পুরোহিত

মানসিক ভাবে অসুস্থ এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার করা হল এক ব্যক্তিকে। ধৃতের নাম প্রশান্তকুমার পাঠক (৫০)। সে পেশায় পুরোহিত।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৯ নভেম্বর ২০১৮ ০০:০০
Share:

প্রতীকী চিত্র।

মানসিক ভাবে অসুস্থ এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার করা হল এক ব্যক্তিকে। ধৃতের নাম প্রশান্তকুমার পাঠক (৫০)। সে পেশায় পুরোহিত।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, বুধবার পর্ণশ্রীর ১০ নম্বর বস্তির বাসিন্দা এক ব্যক্তি তাঁর বছর পঁচিশের মেয়েকে নিয়ে পর্ণশ্রী থানায় আসেন। মেয়েটিকে দেখিয়ে ওই ব্যক্তি পুলিশকে জানান, এটি তাঁর বড় মেয়ে। বছর বারো আগে মেদিনীপুরে মেয়ের বিয়ে দিয়েছিলেন। মেয়ে-জামাইয়ের একটি কন্যা সন্তানও রয়েছে। কিন্তু তাঁদের মেয়ে মানসিক ভাবে অসুস্থ বলে বিয়ের কয়েক বছর পরে জামাই তাঁর কাছে রেখে দিয়ে যান। তার পর থেকে ওই তরুণী তাঁর বাপের বাড়িতেই আছেন। ওই ব্যক্তি জানান, গত কয়েক দিন ধরে মেয়ে বারবার অসুস্থ হয়ে পড়ছিলেন। প্রথমে তাঁরা ভেবেছিলেন, মানসিক চিকিৎসার জন্য তিনি যে ওষুধ খান তারই জেরে সম্ভবত এই অসুস্থতা।

তরুণীর বাবা জানান, কিন্তু ওই দিন অর্থাৎ বুধবার সকাল থেকে তরুণী ফের অসুস্থ হলে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তখনই চিকিৎসক পরীক্ষা করে জানান, তাঁদের মেয়ে অন্তঃসত্ত্বা! তাঁর দাবি, ‘‘গত কয়েক বছর ধরে বাপের বাড়িতে থাকলেও মানসিক অসুস্থতার কারণে মেয়ে পাড়ার বাইরে খুব একটা বেরোয় না। কিন্তু স্নান করতে পাশের অজন্তা সরকারি আবাসনের ভিতরে মন্দির সংলগ্ন একটা পুকুরে যেত। তাই ওর অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর শুনে খুব ভয় পেয়ে যাই।’’

Advertisement

তবে কী করে অন্তঃসত্ত্বা হলেন ওই তরুণী, বারবার তাঁকে এই প্রশ্ন করেন পরিজনেরা। তরুণীর মা জানান, প্রথমে বলতে চাননি। পরে বকাবকি করায় মেয়ে জানান, অজন্তা সরকারি আবাসনের ভিতরে যে মন্দির রয়েছে, তার পুরোহিত তাঁকে ডেকে নিয়ে গিয়েছিল মাস খানেক আগে। সেই তাঁকে ধর্ষণ করেছিল। তরুণীর অভিযোগ, ঘটনার কথা কাউকে না জানানোর জন্য তাঁকে ভয়ও দেখিয়েছিল ওই পুরোহিত।

ওই খবর পড়শিদের জানান তরুণীর বাবা। অভিযোগ, এর পরেই বস্তির লোকজন বৃহস্পতিবার মন্দিরের পিছনে থাকা অভিযুক্ত পুরোহিতের ঘরে ঢুকে তার জিনিস ভাঙচুর করে এবং তাকে মারধর করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পর্ণশ্রী থানার পুলিশ। মারমুখী জনতার হাত থেকে উদ্ধার করে আনা হয় ওই পুরোহিতকে। পরে তরুণীর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ প্রশান্তকে গ্রেফতার করে।

বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেল, আবাসনের ভিতরে মন্দিরের পিছনেই একটি ছোট্ট ঘুপচি ঘরে রাখা জিনিসপত্র তোলপাড়। পুলিশ জানিয়েছে, সেখানেই থাকত পুরোহিত। অভিযোগ, ভুল বুঝিয়ে ওই ঘরে নিয়ে গিয়েই তরুণীকে ধর্ষণ করা হয়েছে। অভিযোগকারিণী তরুণীকে বিদ্যাসাগর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ‘মেডিকো লিগ্যাল’ পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন