ছেলেকে খুনের ঘটনায় মৃত্যু ধৃত মায়ের

ছেলে এথান আব্রাহামকে খুনের ঘটনার পরে ধৃত পৌলমী ব্যারাকপুর মহকুমা জেলে ছিলেন। সেখান থেকে তাঁকে দমদম কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে পাঠানো হয়। সূত্রের খবর, শারীরিক ভাবে অসুস্থ পৌলমী শুধুমাত্র ঘাড়টুকুই ঘোরাতে পারতেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০২:৪৪
Share:

এথান আব্রাহাম।

ছেলেকে খুন ও মাকে খুনের চেষ্টার অভিযোগে ধৃত দমদমের সেই তরুণী শেষ পর্যন্ত মারা গেলেন। পৌলমী সেন নামে বছর তেত্রিশের ওই তরুণী রবিবার সকাল দশটা নাগাদ চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মারা যান। ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে দমদমের এম সি গার্ডেনের বাসিন্দা পৌলমী তাঁর আট বছরের ছেলেকে শ্বাসরোধ করে খুন করেন বলে অভিযোগ ওঠে। তার পরে মায়ের পেটেও তিনি ছুরি মেরে শেষ পর্যন্ত নিজেও আবাসনের ছাদ থেকে ঝাঁপ দেন।

Advertisement

ছেলে এথান আব্রাহামকে খুনের ঘটনার পরে ধৃত পৌলমী ব্যারাকপুর মহকুমা জেলে ছিলেন। সেখান থেকে তাঁকে দমদম কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে পাঠানো হয়। সূত্রের খবর, শারীরিক ভাবে অসুস্থ পৌলমী শুধুমাত্র ঘাড়টুকুই ঘোরাতে পারতেন। দু’টি কি়ডনি আগেই অকেজো হয়ে গিয়েছিল তাঁর। ঠিক মতো খেতেও পারতেন না। এমন অবস্থায় দমদম থেকে তাঁকে একাধিক হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়। শেষ পর্যন্ত ন্যাশনাল মেডিক্যালে তাঁকে স্থানান্তরিত করতে হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন ছিলেন পৌলমী। নিয়মিত ডায়ালিসিস চলত। তবে শারীরিক অবস্থার অবনতির কারণে গত কয়েক দিন ধরে পৌলমীর ডায়ালিসিসও করা যায়নি বলে সংশোধনাগার সূত্রের খবর। এ দিন সকালে তাঁর মৃত্যু হয়। ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে ওই ঘটনার পরে পৌলমী জানিয়েছিলেন, নাবালক ছেলে পুষ্টির অভাবে শুকিয়ে যাচ্ছিল। অথচ নাবালক ছেলের জন্য ওষুধের খরচও জোগাড় করতে পারছিলেন না পৌলমী। পাশাপাশি, তিনি ডিপ্রেশনের রোগী হওয়ায় প্রচুর টাকার ওষুধ কিনতে হত। ঘটনার কিছু দিন আগে একটি কম্পিউটার ট্রেনিং ইনস্টিটিউট খুলেছিলেন পৌলমী। তাঁর দাবি ছিল, ব্যাঙ্কের ঋণ শোধ করতে পারছিলেন না।

সেই আর্থিক অনটন থেকে বাঁচতে সোশ্যাল মিডিয়াকেও (সামাজিক মাধ্যম) ব্যবহার করেছিলেন পৌলমী। কিন্তু কোথাও থেকে কোনও সাহায্য না পাওয়ার কারণে শেষ পর্যন্ত ছেলেকে খুন করেন বলে দাবি করেছিলেন পৌলমী। মা মালবিকাদেবীকেও খুনের চেষ্টা করেন। তিন দিন আগে মালবিকাদেবী মারা গিয়েছেন।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন