বিহারে নাচের অনুষ্ঠান করতে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছেন তাঁদের মেয়ে। মেয়েকে অপহরণ করে তাঁর উপর শারীরিক অত্যাচার করা হচ্ছে। এমনই অভিযোগ দায়ের করলেন পাটুলির বাসিন্দা নিখোঁজ হওয়া বাইশ বছরের এক তরুণীর মা।
পুলিশ জানায়, ১৮ মে পাটুলি থানায় অপহরণের মামলা দায়ের হয়েছে। পুলিশের একটি দল তরুণীকে উদ্ধার করতে ১৯ মে বিহার-নেপাল সীমান্তে রওনা হয়েছে।
তরুণীর পরিবারের দাবি, বিহারে নাচের কয়েকটি অনুষ্ঠান করার জন্যে তরুণীর সঙ্গে তাঁর বন্ধু প্রসেনজিতের মোটা টাকার চুক্তি হয়েছিল। ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে বিহারে পৌঁছোন ওই তরুণী।
পুলিশ জেনেছে, বিহারে যাওয়ার পরে বাড়ির লোকেদের সঙ্গে ফোনে কথা হতো তরুণীর। তিনি জানান, তাঁর অনুষ্ঠানে ভিড় হচ্ছে, প্রশংসা পাচ্ছেন। কিন্তু মার্চের প্রথম সপ্তাহ থেকে আর ফোন না করায় দুশ্চিন্তা শুরু হয় পরিবারের। তরুণীর মা এবং বোন প্রসেনজিতের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেন। কিন্তু তার দু’টি ফোনই বন্ধ পেয়ে তাঁদের সন্দেহ হয় যে, মেয়েকে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
তরুণীর মা থানায় দায়ের করা অভিযোগে জানান, কয়েক দিন আগে অচেনা একটি নম্বর থেকে গোল্লু নামে এক জন তাঁকে ফোনে জানায়, দিন দশেক আগে মুজফ্ফরপুর থেকে বহু দূরে একটি বাড়িতে আটকে রাখা হয়েছে তাঁদের মেয়েকে।
এর পরেও অচেনা কিছু নম্বর থেকে ফোন আসে তরুণীর মায়ের কাছে। একবার মেয়ের গলাও শুনতে পান তিনি। তরুণী মাকে জানান, গোপী নামে এক যুবকের অধীনে তাঁকে আটকে রাখা হয়েছে। স্থানীয় যুবকেরা নজরদারি চালাচ্ছে। মায়ের অভিযোগ, অপরিচিত ওই যুবকেরা তাঁর মেয়ের উপরে শারীরিক নির্যাতনও করছে।