বর্ষবরণের রাতপথে উদ্দাম উদ্যাপন। —ফাইল চিত্র।
চার দিনের মাথায় গরফা থানার মহিলাকে অপহরণ ও শ্লীলতাহানির ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতের নাম অঞ্জন চক্রবর্তী (৪৭)। বাড়ি গরফা থানা এলাকার সাউথ পূর্বাচল হসপিটাল রোডে।
গত ৩১ ডিসেম্বর রাতে গরফা থানা এলাকার কালীকাপুর মোড়ের কাছে নেতাজিনগর থানার বাসিন্দা এক দম্পতির গাড়িতে ধাক্কা মেরে পালান অঞ্জন। গাড়িটি ধরার জন্য পিছু নেন ওই দম্পতি। সাঁপুইপাড়া মোড়ের কাছে গাড়িটি ধরে ফেলেন তাঁরা।
তাঁদের গাড়িতে কেন ধাক্কা মারা হল, ওই দম্পতি জানতে চাইলে অঞ্জন নামের এই ব্যক্তি মহিলাকে গা়ড়িতে তুলে নিয়ে চম্পট দেন বলে অভিযোগ। মহিলাকে অর্ধেক ঝুলন্ত অবস্থায় নিয়ে গাড়ি ছুটতে শুরু করলে তাঁর স্বামীর চিৎকার করেন। এর পরেই দুই স্কুলপড়ুয়া মোটরবাইক করে পিছু নিয়ে মহিলাকে উদ্ধার করেন।
বর্ষবরণের রাতের ওই ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ প্রথমে এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখে। মহিলার কাছ থেকে এর আগে ওই ব্যক্তির এবং গাড়ির সব রকমের বিবরণ নিয়েছিলেন তদন্তকারীরা। জেনেছিলেন, সাদা রঙের গাড়িটি ছিল একটি নামী বিদেশি সংস্থার।
কিন্তু সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে স্পষ্ট ভাবে কিছু খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। এর পরেই ওই বিদেশি গাড়ি সংস্থার কাছ থেকে তদন্তকারীরা এ রাজ্যে ওই গাড়ির মালিকের সংখ্যা এবং নাম-ঠিকানা চেয়ে পাঠান। এর পরে সেই গাড়ি ধরে এবং সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে তদন্তকারীরা গাড়ির নম্বরের শেষ দু’টি সংখ্যা ‘৭৪’ ধরে মেলাতে শুরু করেন। আর তাতে খোঁজ মেলে একটি শেয়ার ব্রোকার সংস্থার একটি গাড়ির। সেই গাড়ির চালককে ধরে তদন্তকারীরা জানতে পারেন গাড়ির আসল মালিক অঞ্জন চক্রবর্তী এবং তাঁর বাড়ি গরফা থানা এলাকাতেই। ঘটনাস্থল থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বেই তাঁর বাড়ি। কিন্তু এলাকায় গিয়ে খোঁজ করলে স্থানীয়েরা তদন্তকারীদের কিছুটা বিভ্রান্ত করেন বলে পুলিশের দাবি।
পরে পুলিশ গাড়ির চালককে নিয়ে গিয়ে বা়ড়িটি চিহ্নিত করে অঞ্জন চক্রবর্তীকে ওই বাড়ি থেকেই শুক্রবার গ্রেফতার করে। পুলিশ জানিয়েছে, অঞ্জন শিলিগুড়ির একটি বোর্ডিং স্কুলের পার্টনার এবং শেয়ার ব্রোকার হিসেবে কাজ করেন।