নরেন্দ্রপুরে পুলিশ সেজে ডাকাতিতে গ্রেফতার এই তরুণী

গত রবিবার গভীর রাতে নরেন্দ্রপুরের নেতাজিনগরে অরূপ দত্ত নামে ওই ব্যবসায়ীর বাড়িতে হানা দেয় ছ’জনের একটি ডাকাতদল। পরিবারের লোকের দাবি, তিন জনের পরনে ছিল পুলিশের উর্দি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ অগস্ট ২০১৯ ০৪:৫৫
Share:

দীপা মজুমদার

পুলিশ সেজে নরেন্দ্রপুরে ব্যবসায়ীর বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় মূল চক্রী, বছর বাইশের এক তরুণীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। শনিবার রাতে নরেন্দ্রপুরের খুড়িগাছি এলাকা থেকে তাকে ধরা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম দীপা মজুমদার। ওই ঘটনায় তার এক প্রেমিকও যুক্ত। সেই যুবকের খোঁজ চলছে।

Advertisement

গত রবিবার গভীর রাতে নরেন্দ্রপুরের নেতাজিনগরে অরূপ দত্ত নামে ওই ব্যবসায়ীর বাড়িতে হানা দেয় ছ’জনের একটি ডাকাতদল। পরিবারের লোকের দাবি, তিন জনের পরনে ছিল পুলিশের উর্দি। বাকি তিন জন ছিল সাধারণ পোশাকে। গৃহকর্তার মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে ৭০ হাজার টাকা, সোনা ও রুপোর গয়না লুট করে দুষ্কৃতীরা। ঘটনাটি টের পেয়ে আশপাশের লোকজন যখন চিৎকার শুরু করেন, তখন শূন্যে গুলি ছুড়তে ছুড়তে পালিয়ে যায় ডাকাতেরা। পিছু ধাওয়া করে এক জনকে ধরে ফেলেন স্থানীয়েরা।

ঘটনার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পুলিশ রেজাউল শেখ, মামন শেখ, সবুজ শেখ ও দীপু শর্মা নামে চার ডাকাতকে গ্রেফতার করে। এদের মধ্যে প্রথম তিন জনের বাড়ি বাংলাদেশের যোগেশগঞ্জে। ধৃতদের জেরা করে তদন্তকারীরা জানতে পারেন, ঘটনার মূল মাথা দীপা।

Advertisement

কী ভাবে ওই তরুণী জড়িয়ে পড়ল এই ঘটনায়? পুলিশ জানিয়েছে, অরূপদের বাড়িতে অবাধ যাতায়াত ছিল দীপার। অরূপের মা মায়া দত্তকে সে জেঠিমা বলে ডাকত। তিনিও দীপাকে ভালবাসতেন। পুলিশ সূত্রের খবর, মাস কয়েক আগে অরূপের বাড়িতে অনেক গয়না দেখে মায়ার কাছে কয়েকটি গয়না চায় দীপা। বলে, বিয়েবাড়ি যাওয়ার জন্য লাগবে। সরল মনে সেই গয়না দিয়ে দেন মায়া। বিয়েবাড়িতেই দীপার সঙ্গে তার প্রেমিকের সেই গয়না নিয়ে কথা হয়। দীপা তাকে জানায়, দত্তবাড়িতে চুরি বা ডাকাতি করতে পারলে প্রচুর গয়না পাওয়া যাবে। এর পরেই ওই যুবক যোগাযোগ করে কুখ্যাত বাংলাদেশি ডাকাত রেজাউলের সঙ্গে। রেজাউল, দীপা এবং ওই যুবক মিলে বেশ কয়েক বার আলোচনা করে অরূপের বাড়িতে ডাকাতির ছক কষে। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার কয়েক দিন আগে দীপা ও তার প্রেমিক গিয়ে গোটা এলাকায় রেকি করে আসে। দেখে আসে অরূপদের ঘরের জিনিসপত্র এবং বিগ্রহের গায়ের গয়না। তার পরেই পরিকল্পনামাফিক নির্দিষ্ট দিনে ডাকাতি হয়।

জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘তদন্ত অনেকটাই এগিয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, খুব তাড়াতাড়ি দলের আর এক দুষ্কৃতীও ধরা পড়বে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন