Howrah

মৃত চিকিৎসকের সই প্রতিবন্ধী শংসাপত্রে!

ফিজ়িয়োথেরাপি নিয়ে পড়ার জন্য প্রতিবন্ধী কোটায় রাজ্য স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আবেদন করেছিলেন হাওড়ার বাসিন্দা সৌম্যজ্যোতি।

Advertisement

শান্তনু ঘোষ

কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ নভেম্বর ২০২০ ০১:৪৭
Share:

প্রতীকী ছবি।

প্রার্থীর প্রতিবন্ধী শংসাপত্র দেখেই সন্দেহ হয়েছিল মেডিক্যাল বোর্ডের চিকিৎসকদের। কারণ শংসাপত্রে গত বছরের তারিখে যে চিকিৎসকের সই রয়েছে, তিনি মারা গিয়েছেন প্রায় ১০ বছর আগে। এমনকি, শংসাপত্রে লেখা চিকিৎসা পরিভাষার বানানও ভুল!

Advertisement

এর পরেই গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য পুলিশে খবর দেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে এসএসকেএমে। সৌম্যজ্যোতি সাউ নামে ওই যুবককে আটক করেছে ভবানীপুর থানার পুলিশ। কী ভাবে তিনি ওই শংসাপত্র পেলেন, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

ফিজ়িয়োথেরাপি নিয়ে পড়ার জন্য প্রতিবন্ধী কোটায় রাজ্য স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আবেদন করেছিলেন হাওড়ার বাসিন্দা সৌম্যজ্যোতি। এই ধরনের ভর্তির ক্ষেত্রে পূর্ব ভারতে প্রতিবন্ধী শংসাপত্র খতিয়ে দেখার কেন্দ্র এসএসকেএম হাসপাতাল। এ দিন সেখানকার মেডিক্যাল বোর্ডের সামনে হাজির হন ওই যুবক। তাঁর কথা বলতে সমস্যা রয়েছে। পুলিশ সূত্রের খবর, যুবকের শংসাপত্র দেখে চমকে ওঠেন বোর্ডের সদস্য-চিকিৎসকেরা। তাঁরা দেখেন, ২০১৯ সালের তারিখ দিয়ে সেটি সই করেছেন চিকিৎসক প্রদীপকুমার মল্লিক। কিন্তু তিনি মারা গিয়েছেন আগেই। পাশাপাশি বনহুগলির যে কেন্দ্রীয় সংস্থার নাম ওই শংসাপত্রে ছিল, চার বছর আগে সেটিরও নাম পাল্টে গিয়েছে। এমনকি, শংসাপত্রে লেখা বয়ানে বানানও ভুল রয়েছে। সব মিলিয়ে সন্দেহ হয় মেডিক্যাল বোর্ডের চিকিৎসকদের। এর পরেই তাঁরা সৌম্যজ্যোতির কাছে জানতে চান, তিনি ওই শংসাপত্র কোথা থেকে, কী ভাবে পেলেন।

Advertisement

হাসপাতাল সূত্রের খবর, এই প্রশ্নের সদুত্তর দিতে পারেননি ওই যুবক। এর পরেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানান ওই চিকিৎসকেরা। এসএসকেএমের সুপার রঘুনাথ মিশ্র বলেন, ‘‘শংসাপত্রটি দেখে সন্দেহ হওয়ায় পুলিশকে সব জানানো হয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন