ঘরে গুলিবিদ্ধ হয়ে যুবকের মৃত্যু, দানা বাঁধছে রহস্য

ছোট্ট একটি ঘর। গোটা ঘরে এলোমেলো ভাবে ছড়িয়ে রয়েছে বন্দুক ও কার্তুজের স্তুপ। তার মধ্যেই চিৎ হয়ে পড়ে রক্তাক্ত এক যুবক। তাঁর বাঁ চোখের পাশ দিয়ে রক্ত পড়ছে। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, চোখের পাশ দিয়ে গুলি ঢুকে মাথার পিছন দিয়ে বেরিয়ে গিয়েছে, তাতেই মৃত্যু হয়েছে ওই যুবকের। শুক্রবার দুপুরে সোনারপুরে এক যুবকের এমন মৃত্যুর ঘটনায় রহস্য দানা বেঁধেছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

সোনারপুর শেষ আপডেট: ০৩ মে ২০১৫ ০১:৩৬
Share:

ছোট্ট একটি ঘর। গোটা ঘরে এলোমেলো ভাবে ছড়িয়ে রয়েছে বন্দুক ও কার্তুজের স্তুপ। তার মধ্যেই চিৎ হয়ে পড়ে রক্তাক্ত এক যুবক। তাঁর বাঁ চোখের পাশ দিয়ে রক্ত পড়ছে। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, চোখের পাশ দিয়ে গুলি ঢুকে মাথার পিছন দিয়ে বেরিয়ে গিয়েছে, তাতেই মৃত্যু হয়েছে ওই যুবকের। শুক্রবার দুপুরে সোনারপুরে এক যুবকের এমন মৃত্যুর ঘটনায় রহস্য দানা বেঁধেছে।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম রাহুল ঘোষ (২২)। বাড়ি সোনারপুরের নতুন দিয়ারা এলাকায়। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, রাহুল ওই ঘরে একাই ছিলেন। আগ্নেয়াস্ত্রগুলি সরাতে গিয়ে কোনও ভাবে তাঁর মাথায় গুলি লাগে। তবে এই ঘটনায় কোনও গোষ্ঠীও জড়িত থাকতে পারে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। ঘটনার সূত্র ধরে দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রের খবর, শুক্রবার দুপুর ৩টে নাগাদ হঠাৎই গুলির শব্দ পান রাহুলের পরিবারের লোকজনেরা। তখন বাড়ির পিছন দিকের একটি ঘরেই ছিলেন রাহুল। পরিবারের লোকেরা সেই ঘরের দরজা খুলতেই দেখেন গোটা ঘরে কার্তুজ-বন্দুক ছড়িয়ে। তার মধ্যেই রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রাহুল। বাড়ির ভিতরে আগ্নেয়াস্ত্রের স্তুপ ও তার মধ্যে রাহুলকে পড়ে থাকতে দেখে হতভম্ব হয়ে যান পরিজনেরা। খবর যায় পুলিশে। পুলিশ ওই ঘর থেকে তিনটি ওয়ান শটার, ২টি পিস্তল এবং ৮৫ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করে।

Advertisement

পুলিশ জেনেছে, আগে বিভিন্ন বাড়িতে মার্বেল বসানোর কাজ করতেন রাহুল। কয়েক মাস আগে তিনি তা বন্ধ করেন। তখন থেকেই এলাকার বিভিন্ন দুষ্কৃতীর সঙ্গে রাহুলের ঘনিষ্ঠতা গড়ে ওঠে। এমনকী পুরভোটের সময়েও তাঁর ঘরে আগ্নেয়াস্ত্র মজুত ছিল বলে জেনেছে পুলি‌শ। পুলিশ জানায়, এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে দুই যুবককে। আর কেউ এই ঘটনায় জড়িত কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

তবে রাহুলের পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, ঘরে আগ্নেয়াস্ত্র মজুত থাকার বিষয়ে কিছুই জানতেন না তাঁরা। কিন্তু মার্বেলের কাজ কেনই বা বন্ধ করলেন রাহুল? কে বা কারা তাঁকে আগ্নেয়াস্ত্র মজুত রাখার দায়িত্ব দিয়েছিলেন? কত দিন এই কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন রাহুল? এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন