এ ভাবেই উদ্ধার করা হয়েছিল হেমন্ত গগৈকে। ফাইল চিত্র
দিন কয়েক আগে হাওড়া সেতু থেকে গঙ্গায় ঝাঁপ দিতে চাওয়া যুবক এখন অনেকটাই সুস্থ। অসমের বাড়িতে দ্রুত ফিরেও যেতে চান তিনি। তাঁকে নিয়ে যেতে কলকাতায় এসেছেন তাঁর মা। তবে তাঁকে ফেরত পাঠানো নিয়েই এখন ফাঁপরে পড়েছে পুলিশ।
পাভলভ হাসপাতাল এবং পুলিশ সূত্রের খবর, বাড়িতে ফিরতে চাইলেও হাওড়া স্টেশন থেকে ট্রেনে ওঠায় তাঁর প্রবল আপত্তি। হেমন্ত গগৈ নামে ওই যুবক চিকিৎসকদের জানিয়েছেন, হাওড়া স্টেশন বাদ দিয়ে অন্য যে কোনও ভাবে বাড়ি ফিরতে রাজি তিনি। চিকিৎসকদের তিনি বলছেন, ‘‘হাওড়ায় গেলেই আমায় মারবে ওরা। যাব না।’’ পুলিশ এখন ভাবছে, অসমে যাওয়ার সহজ উপায় রেলপথ ছেড়ে ওই যুবকের জন্য কি তবে বিমান বা গাড়ির ব্যবস্থা করতে হবে! আর তা করতে হলে আদালত থেকে পুলিশকে বিশেষ অনুমতিও করাতে হবে বলে জানাচ্ছেন পুলিশ আধিকারিকেরা।
সম্প্রতি হাওড়া সেতু থেকে গঙ্গায় ঝাঁপ দেওয়ার চেষ্টা করেন হেমন্ত। দীর্ঘ পাঁচ ঘণ্টার নাটকের পরে কোনও মতে তাঁকে পাকড়াও করে উত্তর বন্দর থানার পুলিশ এবং বিপর্যয় মোকাবিলা দলের সদস্যেরা। পরে আদালতের অনুমতি নিয়ে ওই যুবককে পাভলভে ভর্তি করায় পুলিশ। পাভলভ হাসপাতালের সুপার গণেশ প্রসাদ শনিবার বলেন, ‘‘ওই রোগী অনেকটাই সুস্থ। ওর মা-ও এসেছেন অসম থেকে। নিয়মিত ছেলের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন তিনি। আর দু’-এক দিন দেখে নিয়ে ছাড়া ভাল।’’ সেই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘সমস্যা হল, ওই যুবক হাওড়া স্টেশন দিয়ে কিছুতেই ফিরতে চাইছেন না। ওঁর ধারণা, হাওড়ায় গেলেই নাকি ওঁকে ধরে কেউ মারবেন।’’ তাই হেমন্তের হাওড়া স্টেশনের ভীতি কাটাতে চাইছেন চিকিৎসকেরা।