Child Right Commission

কোন ‘ছোঁয়া’ কেমন, শিশুদের শেখাতে প্রোজেক্ট মাসুম

সম্প্রতি জি ডি বিড়লা স্কুলের ঘটনার পর থেকেই অভিভাবকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে প়ড়েছে। সন্তানদের নিরাপত্তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন তাঁরা। শিশুর জন্য স্কুল আদপে কতটা নিরাপদ, স্কুলের শিক্ষকদের দ্বারাই শিশুটি আক্রান্ত হওয়ার অভিযোগে এমন প্রশ্ন উঠেছে।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০১৭ ১৮:৫২
Share:

প্রতীকি চিত্র। — সৌজন্যে পিক্সাবে।

কোনটা ‘দুষ্টু’ স্যারের ছোঁয়া আর কোনটা নেহাত অপত্য স্নেহে? শিশুরা কি সবসময় তা বুঝতে পারে? বোঝার আগেই তো অনেক সময় অনেক বিপদ ঘটে যায়। তা হলে কী করবে তারা?

Advertisement

শিশুদের এই ‘ছোঁয়া’ সম্পর্কেই সচেতন করতে এগিয়ে এসেছে ইয়ং ইন্ডিয়ান্স। কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রির (সিআইআই) কলকাতা শাখা হল এই ইয়ং ইন্ডিয়ান্স। ইতিমধ্যেই দেশজুড়ে বিভিন্ন স্কুলের পড়ুয়া নিয়ে সচেতনতা শিবির চালাচ্ছে এই বেসরকারি সংস্থা। তাদের লক্ষ্য, প্রতিটি শিশুকে বোঝানো কোন স্পর্শ কেমন। কোনটির উদ্দেশ্য কী? কোন ছোঁয়া ভাল আর কোনটি নয়। গত দু’বছর ধরে সেই কাজই করছে ‘প্রোজেক্ট মাসুম’।

পরিসংখ্যান বলছে, এ দেশে আঠারো বছর হওয়ার আগে ছ’জন ছেলের মধ্যে এক জন এবং চার জন মেয়ের মধ্যে একটি শিশু শারীরিক হেনস্থার শিকার। এরই সঙ্গে মানসিক ভাবেও আক্রান্ত হয় অনেক শিশু। শুধু স্কুলই নয়, নিজের পরিবারের সদস্যদের কাছেই শিশুদের শারীরিক নিগ্রহের ঘটনাও বার বার শিরোনামে উঠে আসে। সবচেয়ে ভয়ের বিষয় হল, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এমন নিগ্রহের ঘটনার কথা কেউই জানতে পারেন না। এমনকী বাবা-মাও অন্ধকারে থেকে যান। এই অবস্থায় শিশুদের সুরক্ষায় এই পদক্ষেপ করেছে সিআইআই।

Advertisement

আরও পড়ুন, ফেটে পড়ছে বহু বছরের জমা ক্ষোভ

আরও পড়ুন, 'শাস্তি আমরাও চাই, তা বলে ম্যামদের জুতো দেখাবে কেন'

সম্প্রতি জি ডি বিড়লা স্কুলের ঘটনার পর থেকেই অভিভাবকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে প়ড়েছে। সন্তানদের নিরাপত্তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন তাঁরা। শিশুর জন্য স্কুল আদপে কতটা নিরাপদ, স্কুলের শিক্ষকদের দ্বারাই শিশুটি আক্রান্ত হওয়ার অভিযোগে এমন প্রশ্ন উঠেছে। ২০১৫ সালে শুরু হওয়া এই প্রকল্প শুরু হয়েছিল আমির খানের ‘সত্যমেব জয়তে’ অনুষ্ঠান থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে। এটির উদ্বোধন করেছিলেন নোবেল শান্তি পুরস্কারে সম্মানিত কৈলাস সত্যার্থী। শিশুদের শারীরিক নিগ্রহ থেকে রক্ষা করতে ইতিমধ্যেই এ রাজ্যে কাজ শুরু করেছে সংস্থা। প্রায় ৮০ হাজার ৭১২টি শিশুরকাছে ইতিমধ্যেই পৌঁছেছেন সিআইআই-এর সদস্যরা। গত ১৪ থেকে ২০ নভেম্বর এই কর্মসূচি চালানো হয়।

কলকাতা ইয়ং ইন্ডিয়ান্স-এর চেয়ারপার্সন আলিফিয়া কলকাত্তাওয়ালার কথায়:‘‘আমাদের প্রাথমিক লক্ষ্য,অভিভাবক, শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং শিশুদের মধ্যে এই সংক্রান্ত সচেতনতা বৃদ্ধি করা। শিশুদের সুরক্ষাই এর মূল উদ্দেশ্য। এবং শিশুদের এটা বোঝানো যে, কোনটি গুড টাচ ও কোনটি ব্যাড।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন