ফুরফুরে: খেলে বেড়াচ্ছে নতুন সদস্যেরা। বৃহস্পতিবার, চিড়িয়াখানায়। ছবি: দেবস্মিতা ভট্টাচার্য
এ বার অনলাইনেই আগে থেকে কাটা যাবে চিড়িয়াখানার টিকিট।
লক্ষ লক্ষ দর্শক। কিন্তু কাউন্টার মাত্র চারটে। ভিড় কমাতে মাঝে মধ্যে আরও দুটো কাউন্টার ঘণ্টা দুয়েকের জন্য খোলা হয়। তাতেও ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইন দিয়ে টিকিট কেটে ভিতরে ঢুকতে হয় উৎসুক দর্শকদের। এত দিনের এই ব্যবস্থা বদলাতে চান আলিপুর চিড়িয়াখানা কতৃর্পক্ষ।
বছরের শুরু থেকেই দর্শকেরা আগাম চিড়িয়াখানার টিকিট কেটে রাখতে পারবেন। এর জন্য সমস্ত ব্যবস্থা প্রায় পাকা হয়ে গিয়েছে বলে জানান পশ্চিমবঙ্গের ‘জু অথরিটির’ সদস্য সচিব বিনোদকুমার যাদব। তিনি বলেন, ‘‘আগামী ১ জানুয়ারি থেকে যাতে দর্শকদের লাইনে কষ্ট করে
না দাঁড়াতে হয়, তার জন্যই এই ব্যবস্থা।’’ অনলাইনে টিকিট কাটার পরিষেবা চালু করতে বিএসএনএল কর্তৃপক্ষের সাহায্য নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
ইতিমধ্যে উত্তরবঙ্গের বেঙ্গল সাফারিতেও অনলাইনে দর্শকেরা টিকিট কেটে ঘোরার দিন নিশ্চিত করতে পারছেন। পশ্চিমবঙ্গের সব ক’টি চিড়িয়াখানাতেই শীঘ্রই এই ব্যবস্থা চালু করা হচ্ছে বলেও জানান যাদব। বন দফতর সূত্রের খবর, প্রতি বছর প্রায় ৩৫ লক্ষ দর্শক বেড়াতে যান পশ্চিমবঙ্গের চিড়িয়াখানাগুলিতে। গত বছর ১ জানুযারি আলিপুর চিড়িয়াখানাতেই দর্শক সংখ্যা হয়েছিল এক লক্ষ ২০ হাজার।
একই সঙ্গে চিড়িয়াখানার হাতির বিচরণ ক্ষেত্রের উল্টো দিকে আলাদা করে একটি গেটও তৈরি করছেন চিড়িয়াখানা কতৃর্পক্ষ। শীতের মরসুমে মাঝে মধ্যেই ভিড় বেড়ে যায়। দর্শকরা যাতে তাড়াতাড়ি বাইরে বেরিয়ে যেতে পারেন সে কারণেই আর একটি গেট তৈরি করা হল বলে জানান তাঁরা।