অর্থের দরবার প্রেসিডেন্সির নয়া উপাচার্যের

সৌজন্য সাক্ষাতে গিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক সমস্যার কথা জানালেন নতুন উপাচার্য অনুরাধা লোহিয়া। শুক্রবার, নতুন পদের দায়িত্ব নেওয়ার দিনই তিনি জানিয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রগতির জন্য আরও অর্থের প্রয়োজন। শনিবার বিকাশ ভবনে গিয়ে শিক্ষামন্ত্রীকে সে কথাই জানান তিনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৪ মে ২০১৪ ০২:০৯
Share:

রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে প্রেসিডেন্সির নতুন উপাচার্য। ছবি: শৌভিক দে।

সৌজন্য সাক্ষাতে গিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক সমস্যার কথা জানালেন নতুন উপাচার্য অনুরাধা লোহিয়া। শুক্রবার, নতুন পদের দায়িত্ব নেওয়ার দিনই তিনি জানিয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রগতির জন্য আরও অর্থের প্রয়োজন। শনিবার বিকাশ ভবনে গিয়ে শিক্ষামন্ত্রীকে সে কথাই জানান তিনি।

Advertisement

শুক্রবার উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন অনুরাধাদেবী। ওই দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনার পরে তিনি বলেছিলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ে আর্থিক সঙ্কট আছে। যথেষ্ট অর্থের জোগান না থাকলে ভাল শিক্ষক, ভাল ছাত্র, ভাল পঠনপাঠন কিছুই হবে না।”

শনিবার দুপুরে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন অনুরাধাদেবী। সেখানেও অর্থ সঙ্কটের কথা শিক্ষামন্ত্রীকে জানান তিনি। বৈঠক শেষে উপাচার্য বলেন, “ব্রাত্যবাবু আশ্বাস দিয়েছেন, প্রয়োজন হলে যথাযথ নিয়ম মেনে আর্থিক অনুদানের জন্য আবেদন জানাতে হবে। কেন প্রয়োজন, তার যুক্তিসঙ্গত ব্যাখ্যা দেওয়া হলে অর্থ প্রেসিডেন্সির অগ্রগতিতে বাধা হবে না বলে আশ্বাস দিয়েছেন মন্ত্রী।” অর্থের অনটন যে আছে, সে কথা মেনে নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীরও আশ্বাস, “সাহায্যের হাত বাড়ানো থাকবে। প্রেসিডেন্সির কোনও প্রয়োজন হলে বিকাশ ভবন সব রকম সহযোগিতা করবে।”

Advertisement

বৈঠক সেরে বেরিয়ে নতুন উপাচার্য জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের বেকার গবেষণাগারের উন্নয়ন, ক্যাম্পাসে তথ্যপ্রযুক্তি সংযোগের উন্নতি ইত্যাদি কাজকে তিনি অগ্রাধিকার দিতে চান। অনুরাধাদেবী বলেন, “শুনলাম গত বছর বেকার গবেষণাগারের উন্নতির জন্য পাঁচ কোটি টাকা অনুদান দেওয়া হয়েছিল। সেই কাজ এখনও কিছুটা বাকি থেকে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে এ নিয়ে আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।”

২০১৭ সালে প্রেসিডেন্সি কলেজের ২০০ বছর পূর্তি। সেই উপলক্ষে তখন প্রেসিডেন্সিতে একটি আন্তর্জাতিক শিক্ষা সম্মেলনের আয়োজন করতে চান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে এই বিষয়টিও আলোচিত হয়েছে বলে জানান অনুরাধাদেবী। তিনি বলেন, “এটা আমার কাছে একটা বড় চ্যালেঞ্জ। দু’-তিন বছরের মধ্যে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ এগিয়ে এই সম্মেলন আয়োজন করার জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে হবে।”

প্রেসিডেন্সির সদ্য প্রাক্তন উপাচার্য মালবিকা সরকারই তাঁর মেন্টর এবং মালবিকাদেবীর পরামর্শ মেনেই তিনি এগোবেন বলে শুক্রবার জানিয়েছিলেন অনুরাধাদেবী। শনিবার শিক্ষামন্ত্রীর কাছে জানতে চাওয়া হয়, মালবিকাদেবীকে কি বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন্টর গ্রুপের সদস্য করা হতে পারে? ব্রাত্যবাবু বলেন, “মেন্টর গ্রুপ যদি এ রকম কোনও প্রস্তাব দেয়, তা হলে সেটা বিবেচনা করে দেখা হবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন