উড়ালপুল খুললেও রয়েই গেল যানজট

বেশ কয়েকদিন বন্ধ থাকার পর আবার চালু হল নাগেরবাজার উড়ালপুল। তবে সেতু চালু হলেও এলাকায় যানজটের সমস্যা রয়েই গিয়েছে। ২০১২ সালের মার্চে উদ্বোধনের পর দু’বছর পার হতে না হতেই এ নিয়ে দু’বার মেরামতির জন্য বন্ধ থাকল নাগেরবাজার উড়ালপুল।

Advertisement

আর্যভট্ট খান

শেষ আপডেট: ০৯ অগস্ট ২০১৪ ০১:০৪
Share:

বেশ কয়েকদিন বন্ধ থাকার পর আবার চালু হল নাগেরবাজার উড়ালপুল। তবে সেতু চালু হলেও এলাকায় যানজটের সমস্যা রয়েই গিয়েছে। ২০১২ সালের মার্চে উদ্বোধনের পর দু’বছর পার হতে না হতেই এ নিয়ে দু’বার মেরামতির জন্য বন্ধ থাকল নাগেরবাজার উড়ালপুল। গত মাসের ২৫ জুলাই থেকে উড়ালপুলটি মেরামতির জন্য বন্ধ ছিল। গত বছর বর্ষাতেও কিছু দিন বন্ধ ছিল এই উড়ালপুল। এলাকাবাসী প্রশ্ন তুলেছেন, মাত্র দু’বছর আগে উদ্বোধন হওয়া উড়ালপুল বার বার মেরামতির জন্য বন্ধ রাখতে হচ্ছে কেন?

Advertisement

সেতুর মেরামতির বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, কামারডাঙা ফাঁড়ির কাছে উড়ালপুলের পিচ চুঁইয়ে জল কংক্রিটের মধ্যে ঢুকে গিয়েছিল। ফলে কংক্রিট দুর্বল হয়ে গিয়ে সিমেন্ট খসে পড়ে। ফের ওই এলাকার রাস্তার পিচ উঠিয়ে দিয়ে কংক্রিটের মেরামতি করা হল। গত বছর বর্ষাতেও অনেকটা এই সমস্যার জন্যই উড়ালপুল বন্ধ ছিল কাজীপাড়ার কাছে। এ বার ফের বন্ধ হল কামারডাঙা ফাঁড়ির কাছে।

নাগেরবাজার এলাকায় যানজট কমাতে ও যশোহর রোড ধরে সহজে এয়ারপোর্ট পৌঁছতে এই উড়ালপুল তৈরি হয়। ১০৭কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি এই উড়ালপুল উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, অবশেষে নাগেরবাজার ও দমদম এলাকা যানজট থেকে মুক্তি পেতে চলেছে। কিন্তু বার বার উড়ালপুল বন্ধ থাকায় প্রশ্ন উঠেছে কোটি কোটি টাকা খরচ করে তৈরি করা উড়ালপুল আদৌ যানজট-সমস্যার সমাধান করতে পারছে কি?

Advertisement

এ ছাড়াও উড়ালপুল চালু হওয়ার কিছু দিনের মধ্যেই তার নীচে তৈরি হয়ে যায় গ্যারেজ ও বিভিন্ন ছোট গাড়ির স্ট্যান্ড। উড়ালপুলের নিচে বসে বাজারও। অভিযোগ এগুলির জন্য উড়ালপুলের নীচে যশোহর রোডের যানজট রয়েই গিয়েছে। তবু কিছু গাড়ি উড়ালপুলের উপর দিয়ে যাওয়ায় যানজট কিছু কমেছিল। কিন্তু কয়েক দিন ধরে উড়ালপুল সম্পূর্ণ বন্ধ থাকায় নাগেরবাজার সংলগ্ন এলাকায় ফের তীব্র যানজট শুরু হয়ে যায়। অভিযোগ, উড়ালপুল চালু হওয়ার পরেও যানজটের সমস্যা কিন্তু রয়েই গিয়েছে।

উড়ালপুল মেরামতির দায়িত্বে থাকা হুগলি রিভার ব্রিজ কমিশনার্স (এইচআরবিসি)-এর আধিকারিকেরা অবশ্য জানান, এটা রুটিন মেরামতির মধ্যেই পড়ে। দক্ষিণ দমদম পুরসভার এগজিকিউটিভ অফিসার সুপ্রিয় হালদার বলেন, “উড়ালপুলের রাস্তার কিছু অংশ বসে যাওয়ায় পিচ উঠিয়ে কংক্রিট মেরামতির কাজ হল।” অভিযোগ দিন দশেকের মধ্যে কাজ শেষ হয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও কাজ শেষ হতে সময় লেগে যায় আরও বেশি। এইচআরবিসি-র ভাইস চেয়ারম্যান সাধন বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য বলেন, “কাজ দ্রুত শেষ করে উড়ালপুল খুলে দেওয়া হল।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন