এলাকায় থাকার তোলা চেয়ে মারধর

ব্যবসার জন্য তোলাবাজি নয়। স্রেফ এলাকায় থাকার মাসুল হিসেবে টাকা চেয়ে এক এসএফআই নেতাকে মারধরের অভিযোগ উঠল শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। দূরান্তরের কোনও জেলা নয়, নিরাপত্তা দেওয়ার অজুহাতে টাকা চাওয়ার ঘটনাটি শহর কলকাতারই। পুলিশ জানায়, রবিবার সকালে গাঙ্গুলিবাগানের কেন্দুয়ায় তাঁর উপরে হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ ওই এলাকার বাসিন্দা শান্তনু ঘোষ দস্তিদারের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ জানুয়ারি ২০১৫ ০২:৩৯
Share:

ব্যবসার জন্য তোলাবাজি নয়। স্রেফ এলাকায় থাকার মাসুল হিসেবে টাকা চেয়ে এক এসএফআই নেতাকে মারধরের অভিযোগ উঠল শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। দূরান্তরের কোনও জেলা নয়, নিরাপত্তা দেওয়ার অজুহাতে টাকা চাওয়ার ঘটনাটি শহর কলকাতারই।

Advertisement

পুলিশ জানায়, রবিবার সকালে গাঙ্গুলিবাগানের কেন্দুয়ায় তাঁর উপরে হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ ওই এলাকার বাসিন্দা শান্তনু ঘোষ দস্তিদারের। তিনি এসএফআইয়ের কলকাতা জেলা কমিটির সদস্য। তিনি রাজ্যসভার সিপিএম সদস্য ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় এবং এসএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক দেবজ্যোতি দাসকে সঙ্গে নিয়ে পাটুলি থানায় লিখিত ভাবে অভিযোগ দায়ের করেন।

শান্তনুবাবুর অভিযোগ, সকালে ওই এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় ৬-৭ জন তৃণমূল-সমর্থক তাঁকে ঘিরে ধরে। এলাকায় থাকার জন্য তাঁর কাছে টাকা দাবি করে। তিনি টাকা না-দেওয়ায় বাজারের মধ্যেই তাঁকে মারধর করা হয়। সামনে ছিল তৃণমূলের পার্টি অফিস। সেখানে নিয়ে গিয়েও তাঁকে ফের মারধর করা হয়। তার পরে তাঁকে দিয়ে একটি সাদা কাগজে জোর করে সই করিয়ে নিয়ে ঘড়ি, দু’হাজার টাকা এবং অন্যান্য নথিপত্র কেড়ে নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। পুলিশ জানায়, প্রাথমিক চিকিৎসার পরে শান্তনুবাবুকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

কী বলছে তৃণমূল?

কলকাতা পুরসভার ১০১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূলের আহ্বায়ক অরূপ চক্রবর্তী বলেন, “পার্টি অফিসে ঢুকিয়ে মারধরের কোনও ঘটনা ঘটেনি। তৃণমূলকে কালিমালিপ্ত করার জন্য মিথ্যা কথা বলা হচ্ছে। এটা কোনও রাজনৈতিক ঘটনাই নয়।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement