ম্যাডক্স স্কোয়্যারে সিইএসসি-র দু’টি ভূগর্ভস্থ কেবল লাইন কেটে যাওয়ায় মঙ্গলবার দক্ষিণ কলকাতার বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক লোডশেডিং হয়। সিইএসসির তরফে জানানো হয়েছে, গড়িয়াহাট, বালিগঞ্জ, দেশপ্রিয় পার্ক, রাসবিহারী অ্যাভিনিউ, হাজরা রোড, ভবানীপুর, কুইন্স পার্ক-সহ বিস্তীর্ণ অঞ্চলে ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে লোডশেডিং করতে হয়। আজ, বুধবার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে জানিয়েছে সিইএসসি।
সিইএসসি-র এক কর্তা জানিয়েছেন, ম্যাডক্স স্কোয়্যারে তাদের একটি মাঝারি মাপের সাব স্টেশন আছে। যার সঙ্গে জুড়ে রয়েছে তিনটি ট্রান্সফর্মার। সোমবার গভীর রাতে একটি বেসরকারি মোবাইল সংস্থা ওই অঞ্চলে মাটি খুঁড়ে তাদের কেব্ল লাইন বসানোর কাজ কাজ করছিল, তখনই সিইএসসি-র দু’টি কেব্ল কাটা পড়ে। ফলে ওই সাবস্টেশনের দু’টির ট্রান্সফর্মার বন্ধ হয়ে যায়। একটি ট্রান্সফর্মারের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে হয়। ফলে মঙ্গলবার বিভিন্ন এলাকায় লোডশেডিং হয়। তবে গত কয়েক দিন গরম কিছুটা কম থাকায় শহরে বিদ্যুতের চাহিদা অনেকটাই কম ছিল। ফলে অন্য জায়গায় থেকে বিদ্যুৎ এনে সিইএসসি-কে সামাল দিতে হয়েছে।
এ বছর সিইএসসি এলাকায় এখনও পর্যন্ত সর্বোচ্চ বিদ্যুতের চাহিদা উঠেছে ১৯২১ মেগাওয়াট। ২০১২ সালে ৪ জুন কলকাতা বিদ্যুতের রেকর্ড চাহিদা উঠেছিল ১৯০৪ মেগাওয়াট। ২০১৩ সালে গরম সেই ভাবে না পড়ায় ওই বছর গ্রীষ্মে চাহিদা বাড়েনি।
কিন্তু এ বছর গোটা এপ্রিল জুড়েই তীব্র দাবদাহের কারণে প্রতি দিনই সিইএসসি এলাকায় চাহিদা বেড়েছে। ফলে আগের রেকর্ড ভেঙে এখনই চাহিদার অঙ্ক গিয়ে ছুঁয়েছে ১৯২১ মেগাওয়াটের ঘরে। সিইএসসি-র কর্তারা বলছেন, এখনও মে, জুন বাকি। ঘন ঘন কালবৈশাখী না হলে ফের গরম বাড়বে। সঙ্গে বাড়বে বিদ্যুতের চাহিদা। তবে চাহিদা বাড়লে তা সামাল দেওয়ার সব ব্যবস্থা করা আছে বলেই তাঁদের দাবি। তবে সাব স্টেশনে কোনও যান্ত্রিক ত্রুটি বা কেব্ল লাইন কাটা পড়লে সে ক্ষেত্রে লোডশেডিং করা ছাড়া কোনও উপায় থাকবে না বলে জানিয়েছে সিইএসসি।