ছাত্রছাত্রীদের ক্লাস বয়কট

অঘোষিত ভাবে মঙ্গলবার ক্লাস বয়কট করলেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরবিদ্যা বিভাগের পড়ুয়ারা। তাঁদের দাবি, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (টিএমসিপি) ‘সন্ত্রাসের ভয়ে’ তাঁরা কলেজে যাননি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৯ জুলাই ২০১৪ ০২:২৫
Share:

অঘোষিত ভাবে মঙ্গলবার ক্লাস বয়কট করলেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরবিদ্যা বিভাগের পড়ুয়ারা। তাঁদের দাবি, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (টিএমসিপি) ‘সন্ত্রাসের ভয়ে’ তাঁরা কলেজে যাননি। অভিযোগ অস্বীকার করে টিএমসিপি-র রাজ্য সভাপতি শঙ্কুদেব পণ্ডা দাবি করেন, শারীরবিদ্যা বিভাগের শিক্ষিকা রোশেনারা মিশ্রের (বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্রের মেয়ে) প্ররোচনায় ক্লাস বয়কট হয়। রোশেনারা অভিযোগ অস্বীকার করেন। কেন এ দিন ক্লাস হল না, তার তদন্ত দাবি করেছে টিএমসিপি। উপাচার্য সুরঞ্জন দাস আপাতত দিল্লিতে। সেখান থেকে তিনি বলেন, “স্বাভাবিক পঠনপাঠন বিঘ্নিত হওয়া ঠিক নয়, তা অব্যাহত রাখতে আমরা সব রকম চেষ্টা করব।”

Advertisement

রোশেনারার অভিযোগ, সোমবার রাজাবাজার বিজ্ঞান কলেজে একদল যুবক প্রায় ঘণ্টা দুয়েক তাঁকে ঘেরাও করে রাখে। অভিযোগ, বহিরাগতদের এনে টিএমসিপি অবরোধ করায়। ক্যাম্পাসে তখন বাইক-আরোহী একাধিক অবরোধকারী ছিলেন বলে অভিযোগ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সংগঠন ‘কুটা’-র।

ওই সংগঠনের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়-কর্তৃপক্ষকে জানালেও তাঁরা কার্যত নিষ্ক্রিয় ছিলেন। পুলিশ ডাকা হল না কেন? কুটা-র দাবি, পুলিশ ডাকতে পারেন শুধু কর্তৃপক্ষ। শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অধিকার নেই। তা ছাড়া, ক্যাম্পাসে পুলিশ ডাকার পক্ষপাতীও নন তাঁরা।

Advertisement

শঙ্কুদেব বলেন, “রোশেনারা বাইরে থেকে সিপিএম-এর লোক ডেকে এনে ঘরে বৈঠক করছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে তা করতে পারেন না।” তাঁর দাবি, কুটা সিপিএমের দলীয় সংগঠনে পরিণত হয়েছে, তা নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে। মঙ্গলবার রোশেনারা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “ক্লাস থাকায় এসেছি। ছাত্রছাত্রীরা আসেনি। এ সব নিয়ে কিছু জানা ছিল না।”

কুটা-র অভিযোগ, ফেব্রুয়ারিতে কলেজেরই এক শিক্ষক ভাস্কর দাসকে হেনস্থা, কয়েক মাসের মধ্যে রোশেনারাকে ঘেরাওয়ে তাঁরা সন্ত্রস্ত। কুটা-নেতৃত্ব জানান, ক্যাম্পাস ‘সন্ত্রাসমুক্ত’ করার দাবিতে আজ, বুধবার তাঁরা সিন্ডিকেটের দ্বারস্থ হবেন। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক দিব্যেন্দু পাল বলেন, “১২ জুন কুটার বৈঠকেও হামলা হয়। তবু কর্তৃপক্ষ নির্বিকার। যদিও সেনেট, সিন্ডিকেটের উপরে আমাদের আস্থা অটুট। তাই সিন্ডিকেটেরই দ্বারস্থ হব।”

উপাচার্য জানান, কুটা-র তরফে চিঠি দেওয়া হলে খতিয়ে দেখা হবে। রেজিস্ট্রার বাসব চৌধুরী মঙ্গলবার বলেন, “আপাত ভাবে কর্তৃপক্ষকে নির্বিকার মনে হলেও আমরা কর্তব্য পালন করছি।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন