ছাত্রদের সঙ্গে সংঘর্ষে জখম দুই অটোচালক

অটোচালকদের সঙ্গে কলেজপড়ুয়া একদল ছাত্রের সংঘর্ষে জখম হলেন দু’জন। ভাঙচুর করা হয় পাঁচটি অটো। পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার সদানন্দ রোড ও হাজরা রোডের মোড়ে ঘটনাটি ঘটে। জখম দুই অটোচালক এসএসকেএমে ভর্তি। মারধর ও ভাঙচুরের ঘটনায় পুলিশ চার যুবককে গ্রেফতার করেছে। ওই যুবকেরা দক্ষিণ কলকাতার একটি কলেজের ছাত্র। পুলিশ জানায়, সংঘর্ষের জেরে হাজরা রোডে যান চলাচল কিছুক্ষণের জন্য ব্যাহত হয়। পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৮ জুন ২০১৪ ০৩:০৪
Share:

অটোচালকদের সঙ্গে কলেজপড়ুয়া একদল ছাত্রের সংঘর্ষে জখম হলেন দু’জন। ভাঙচুর করা হয় পাঁচটি অটো। পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার সদানন্দ রোড ও হাজরা রোডের মোড়ে ঘটনাটি ঘটে। জখম দুই অটোচালক এসএসকেএমে ভর্তি। মারধর ও ভাঙচুরের ঘটনায় পুলিশ চার যুবককে গ্রেফতার করেছে। ওই যুবকেরা দক্ষিণ কলকাতার একটি কলেজের ছাত্র। পুলিশ জানায়, সংঘর্ষের জেরে হাজরা রোডে যান চলাচল কিছুক্ষণের জন্য ব্যাহত হয়। পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

Advertisement

ঘটনার সূত্রপাত এ দিন বিকেল সওয়া চারটে নাগাদ। পুলিশ জানায়, দুই কলেজছাত্র মোটরবাইকে চড়ে হাজরা রোড দিয়ে যাচ্ছিলেন। তাঁদের অভিযোগ, এক অটোচালক গাড়ি পিছনে নিয়ে যেতে গিয়ে তাঁদের বাইকে ধাক্কা মারেন। অটোচালকের সঙ্গে বচসা বাধে ওই দুই ছাত্রের। অটোচালকের পক্ষ নিয়ে অন্য অটোচালকেরা ওই দুই ছাত্রকে ঘিরে ধরলে, এক ছাত্র কলেজের সহপাঠীদের ফোন করে ডেকে আনেন।

পুলিশ জানায়, এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শ’দেড়েক ছাত্র হাজরা-খিদিরপুর ও হাজরা-বেহালা রুটের অটোচালকদের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। ভাঙচুর করা হয় পাঁচটি অটো। অভিযোগ, ছাত্রদের হাতে মারধর খান বিশ্বজিৎ চৌধুরী ও প্রমোদ মণ্ডল নামে দুই অটোচালক। কালীঘাট থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং জখম দুই অটোচালককে হাসপাতালে পাঠায়।

Advertisement

এ দিন পুলিশের কাছে অটোচালক ইউনিয়নের নেতা গোপাল সুতার অভিযোগ করেন, স্থানীয় এক কলেজের ছাত্রেরা প্রায়ই নানা কারণে তাঁদের উপরে চড়াও হন। ছাত্রেরাও পাল্টা অভিযোগে জানান, এ দিন অটোচালকদের একাংশই তাঁদের উপরে আগে চড়াও হন। ছাত্রদের উদ্ধার করতেই বাকিরা যান। তখন কয়েকজন অটোচালক উল্টে তাঁদেরই মারধর করেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement