মাঝ আকাশে বিমানের মধ্যেই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন এক ব্যক্তি। প্রায় ৩৫ হাজার ফুট উপর দিয়ে বিমানটি তখন কুয়ালালামপুর থেকে দিল্লি যাচ্ছিল। অবস্থান ছিল কলকাতার কাছাকাছি। অসুস্থ ওই যাত্রীকে তড়িঘড়ি মাটিতে নামিয়ে আনার জন্য পাইলট তাই যোগাযোগ করেন কলকাতা বিমানবন্দরের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের সঙ্গে। জানান, জরুরি ভিত্তিতে অবতরণ করতে চান। মঙ্গলবার সকাল দশটা নাগাদ সেই মতো বিমানটি নামিয়েও আনা হয়েছিল কলকাতায়। কিন্তু তাতেও শেষ রক্ষা হয়নি। বিমানবন্দরের চিকিৎসকেরা ওই ব্যক্তিকে পরীক্ষা করে জানান, ততক্ষণে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। বিমানে ছিলেন ওই ব্যক্তির চিকিৎসক-পুত্র। তাঁদের কলকাতায় রেখে জ্বালানি ভরে দুপুর সাড়ে বারোটা নাগাদ মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্সের ওই বিমানটি দিল্লি উড়ে যায়।
বিমানবন্দর সূত্রের খবর, মৃত ওই ব্যক্তির নাম মহম্মদ আনসারউদ্দিন (৫৭)। এলাহাবাদের বাসিন্দা ওই ব্যক্তি কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন বলে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন। জানা গিয়েছে, আনসারউদ্দিনের ছেলে, পেশায় চিকিৎসক মহম্মদ আসিফউদ্দিন কুয়ালালামপুরে থাকেন। আনসারউদ্দিন তাঁর কাছেই ছিলেন। ছেলের সঙ্গে দিল্লি ঘুরে এলাহাবাদ যাওয়ার কথা ছিল তাঁর। আসিফউদ্দিন-ই বিমানবন্দরের চিকিৎসকদের তাঁর বাবার কিডনির সমস্যার কথা জানান। কুয়ালালামপুর থেকে বিমানে ওঠার সময়ে তিনি দিব্যি সুস্থ ছিলেন বলেও দাবি করেন আসিফউদ্দিন। কিন্তু কয়েক ঘণ্টা বিমান ওড়ার পরে আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়েন। আক্রান্ত হন হৃদরোগে। কলকাতায় নামার কথা না থাকলেও নাগাদ জরুরি ভিত্তিতে নামিয়ে আনা হয় বিমানটিকে। আসিফউদ্দিন দমদম বিমানবন্দরের আধিকারিকদের জানান, কলকাতায় তাঁদের কিছু আত্মীয় রয়েছেন। তাঁদের তিনি খবরও পাঠান। বিমানবন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে, আত্মীয়েরা বিমানবন্দরে পৌঁছে আনসারউদ্দিনের মরদেহ এলাহাবাদে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি শুরু করেন।