তৃতীয় বৌ আর ফ্ল্যাট হাতাতেই খুনের ছক

দু’-দু’টো বিয়ের পরে আরও একটা বৌ আনার সাধ তো ছিলই। সেই সঙ্গে দ্বিতীয় স্ত্রীর বাবার আর্থিক সাহায্যে কেনা বাঘা যতীনের ফ্ল্যাটটি পুরোপুরি হাতিয়ে নেওয়ার অভিসন্ধিও ছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১২ মার্চ ২০১৫ ০৩:০৮
Share:

দু’-দু’টো বিয়ের পরে আরও একটা বৌ আনার সাধ তো ছিলই। সেই সঙ্গে দ্বিতীয় স্ত্রীর বাবার আর্থিক সাহায্যে কেনা বাঘা যতীনের ফ্ল্যাটটি পুরোপুরি হাতিয়ে নেওয়ার অভিসন্ধিও ছিল।

Advertisement

পুলিশ জানাচ্ছে, জোড়া লক্ষ্য ভেদ করতেই বাঘা যতীনের বাসিন্দা মহম্মদ আব্দুল মতিন গোলমাল বাধিয়ে স্ত্রী, শ্বশুর-শাশুড়িকে খুনের ছক কষেছিলেন। প্রমাণ লোপের জন্য ফ্ল্যাটে আগুন লাগাতেও চেয়েছিলেন। মঙ্গলবার ধারালো অস্ত্র দিয়ে দ্বিতীয় স্ত্রী, শাশুড়ি এবং এক বৃদ্ধ পড়শিকে কোপানোর পরে পুরো ঘটনায় এমন ভাবে আগুন এনে ফেলেছিলেন, যাতে পুলিশ ভাবে গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে আগুন লেগেছে। শেষ পর্যন্ত জনতা ধেয়ে আসায় তেতলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে নিজেই প্রাণ হারান মতিন।

বাঘা যতীন কাণ্ডের তদন্তে নেমে পুলিশ জানাচ্ছে, প্রথম স্ত্রীর সন্তান না-হওয়ায় ২০০৫ সালে তাঁর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়ে যায় প্রাক্তন ফৌজি মতিনের। তার পরে ম্যানেজমেন্টের ছাত্রী শাহিন আখতার চৌধুরীকে বিয়ে করেন তিনি। শাহিনের সঙ্গে মতিনের গোলমাল শুরু বাঘা যতীনে ফ্ল্যাট কেনার পরে। পুলিশ জেনেছে, স্ত্রীর গয়না বিক্রি করে এবং শ্বশুরের কাছ থেকে টাকা নিয়ে ফ্ল্যাটটি কেনেন মতিন। ফ্ল্যাটের চাবি পাওয়ার পরেই মতিন ও শাহিনের গোলমাল বাড়ে। শাহিন পুলিশকে জানান, মতিন গয়না, টাকা ফেরত দেননি। রোজ বিবাহ-বিচ্ছেদের জন্য চাপ দিয়ে অত্যাচার চালাতেন, যাতে শাহিন বাড়ি ছেড়ে চলে যান। তা না-হওয়ায় মঙ্গলবার স্ত্রী ও শাশুড়িকে বঁটির কোপ মারেন তিনি। তাঁদের বাঁচানোর চেষ্টা করায় আক্রান্ত হন পড়শি সুনীলকুমার দাস।

Advertisement

মতিনের পরিবার অবশ্য বুধবার সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তাদের অভিযোগ, শাহিন অন্য সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। তা মানতে না-পেরে রাগে মতিন এই কাণ্ড ঘটান। মঙ্গলবার রাতেই লালবাজারের হোমিসাইড বিভাগের গোয়েন্দারা ওই ফ্ল্যাটে যান নমুনা সংগ্রহের জন্য। পুলিশ জানায়, শাহিন এবং তাঁর মা রোমি চৌধুরীকে মঙ্গলবার রাতেই হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। আক্রান্ত প্রতিবেশী সুনীলবাবু অবশ্য এখনও এক হাসপাতালে আছেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement