নিম্নচাপের গুগলিতে কাবু বছরশেষের শীত

হাড়কাঁপানো ঠান্ডা নয়, হাল্কা বৃষ্টি মাথায় নিয়েই সম্ভবত বর্ষবরণ করতে চলেছে শহর কলকাতা। এমনই পূর্বাভাস আলিপুর হাওয়া অফিসের। আবহবিদেরা বলছেন, শ্রীলঙ্কা উপকূলে থাকা নিম্নচাপটি শক্তি বাড়িয়ে ক্রমেই সরে আসছে অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলের দিকে। ওই নিম্নচাপ অন্ধ্রের দিকে যত এগোচ্ছে, ততই গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে ঢুকে পড়ছে মেঘ। যা পুরোপুরি আড়াল করে ফেলেছে সূর্যকে। ফলে মঙ্গলবার দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কমে গিয়েছে। সূর্যের দেখা না মেলায় দিনের বেলাতেও ভাল রকম শীত শীত ভাব অনুভূত হয়েছে। আর অন্যান্য দিনের তুলনায় বেড়ে গিয়েছে রাতের তাপমাত্রা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩১ ডিসেম্বর ২০১৪ ০৩:৩২
Share:

হাড়কাঁপানো ঠান্ডা নয়, হাল্কা বৃষ্টি মাথায় নিয়েই সম্ভবত বর্ষবরণ করতে চলেছে শহর কলকাতা। এমনই পূর্বাভাস আলিপুর হাওয়া অফিসের।

Advertisement

আবহবিদেরা বলছেন, শ্রীলঙ্কা উপকূলে থাকা নিম্নচাপটি শক্তি বাড়িয়ে ক্রমেই সরে আসছে অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলের দিকে। ওই নিম্নচাপ অন্ধ্রের দিকে যত এগোচ্ছে, ততই গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে ঢুকে পড়ছে মেঘ। যা পুরোপুরি আড়াল করে ফেলেছে সূর্যকে। ফলে মঙ্গলবার দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কমে গিয়েছে। সূর্যের দেখা না মেলায় দিনের বেলাতেও ভাল রকম শীত শীত ভাব অনুভূত হয়েছে। আর অন্যান্য দিনের তুলনায় বেড়ে গিয়েছে রাতের তাপমাত্রা।

আরও শক্তি বাড়িয়ে নতুন বছরের প্রথম দিনটিতেই নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ের চেহারা নিয়ে অন্ধ্রপ্রদেশ ও ওড়িশা উপকূলের মাঝামাঝি কোনও এলাকা দিয়ে স্থলভূমিতে ঢুকে পড়বে বলে জানাচ্ছেন আবহবিদেরা। এর ফলে আজ, বুধবার বিকেলের পর থেকেই উপকূলবর্তী দিঘা, কাঁথি, সাগরদ্বীপে বৃষ্টি শুরু হওয়ার পূর্বাভাস দিয়ে রেখেছে হাওয়া অফিস। কলকাতাকেও হাল্কা বৃষ্টি মাথায় নিয়েই নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে হবে।

Advertisement

মঙ্গলবার নিম্নচাপের সম্ভাব্য যে গতিপথ আবহবিজ্ঞানীরা তৈরি করেছেন, তার ভিত্তিতেই আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা গোকুলচন্দ্র দেবনাথের পূর্বাভাস, “বুধবার রাত থেকেই পুরী ও দিঘায় ভারী বৃষ্টি শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কলকাতাতেও বুধবার রাতে এবং বৃহস্পতিবার বৃষ্টি হতে পারে। তবে ভারী বৃষ্টি কলকাতায় হবে না বলেই এই মুহূর্তে মনে হচ্ছে।” বর্ষবরণের উৎসবে পুরোপুরি জল ঢেলে দেওয়ার মতো বৃষ্টি কলকাতায় হবে না বলেই ধারণা আবহবিদদের।

বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের জেরে সোমবার রাত থেকেই সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করেছে গোটা দক্ষিণবঙ্গে। মঙ্গলবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা এ সময়ের স্বাভাবিকের থেকে বেড়ে ১৪.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠে যায়। অন্য দিকে, সূর্য মেঘে ঢেকে থাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি কমে হয়েছে ২৪.৬। উপকূলবর্তী দিঘা, ডায়মন্ড হারবারেও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা গত দু’দিনের থেকে তিন ডিগ্রি করে বেড়েছে। তবে দক্ষিণবঙ্গের বিহার ও ঝাড়খণ্ড লাগোয়া জেলাগুলিতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নীচে ছিল মঙ্গলবারও। ওই সব এলাকায় নিম্নচাপের প্রভাব খুব একটা পড়বে না বলেই মনে করছেন আবহবিদেরা।

রাতের দিকে তেমন কড়া ঠান্ডা না পড়লেও আগামী তিন দিন কলকাতায় দিনের বেলা টুপি, মাফলার, জ্যাকেটের প্রয়োজন হবে বলেই মনে করছেন আবহবিদেরা। কারণ, সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কাছাকাছি চলে আসায় দিনের বেলায় শীত ভাবটা বাড়বে। আবহাওয়ার এই পরিবর্তনে রোগ-জীবাণুরা যেমন সক্রিয় হবে, তেমনই সর্দি-জ্বরের প্রকোপও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা। শিশু ও বৃদ্ধদের এই আবহাওয়ায় সাবধানে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকেরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন