অভিযোগ এই জল নিয়েই। ছবি: শৌভিক দে।
তীব্র গরমে এমনিতেই পানীয় জলের সমস্যা শুরু হয়েছে। তার উপরে কল খুললে বেরোচ্ছে ঘোলা জল। জলে ভাসছে পোকা। পান করা দূরের কথা, এই জল অন্য কাজেও ব্যবহার করতে পারছেন না মুচিবাজার এলাকার উজির চৌধুরি রোডের বাসিন্দারা। জল পান করে বেশ কিছু বাসিন্দা অসুস্থ হয়েছেন।
বাসিন্দারা জানালেন, এলাকায় পুরসভার জল দিনে চার বার আসে। অভিযোগ, সকালের জলের মান সব থেকে খারাপ। স্থানীয় বাসিন্দা শম্ভু ঘোষ বলেন, “কয়েক দিন আগে সকালে বোতলে জল ভরছিলাম। ঘোলাটে জলে পোকা ভাসছিল। দুর্গন্ধে গা গুলিয়ে উঠল।” একই অভিজ্ঞতা আরও এক বাসিন্দা দেবাশিস ঘোষের। তাঁর অভিযোগ, গরম কালে জল বেশি ধরে রাখতে হয়। কিন্তু এখানে পানীয় জলের এমন অবস্থা যে জল কিনে খেতে হচ্ছে। বাসিন্দারা জানান, দিনের প্রথম জলই বেশি ঘোলা থাকে। পরের তিন বার জল ততটা ঘোলা থাকে না। তবে সেই জলও পানের অযোগ্য। এমনকী হাত-মুখ ধোয়াও যায় না।
বাসিন্দাদের অভিযোগ, এ বিষয়ে তাঁরা নারকেলডাঙা মেন রোডের বোরো অফিস থেকে শুরু করে পুরসভার সব জায়গায়ই জানিয়েছেন। এমনকী ডেপুটেশনও দিয়েছেন। পুরসভার কর্মীরা এসে মাটি খুঁড়ে কোথায় সমস্যা হচ্ছে দেখার তা চেষ্টাও করেছেন। কিন্তু পুরোপুরি সমস্যার সমাধান হয়নি। বাসিন্দাদের মতে, গণ্ডগোল মূল লাইনেই। সেখানেই কোনও ছিদ্র হয়েছে। পুর-কর্মীরা শুধু ফেরুল পরীক্ষা করছেন। ফেরুল থেকে যে লাইন ঘরে ঘরে গিয়েছে তা পাল্টাতে বলছেন। বাসিন্দাদের অভিযোগ, কয়েক জন লাইন পাল্টেও সুফল পাননি। যদিও স্থানীয় কাউন্সিলর বিরতি দত্ত বলেন, “সমস্যা ছিল। কিন্তু মিটে গিয়েছে।” যদিও বাসিন্দাদের একাংশ তা মানছেন না। বাসিন্দা শুভাশিস ঘোষ বললেন, “সমস্যাটা ঠিক ভাবে নির্ধারণ করার আগে বাসিন্দারা কেন খরচ করে পাইপ কিনবেন? পুরকর্মীরা বার বার মাটি খুঁড়েও এখনও গলদ বার করতে পারলেন না।”
কলকাতা পুরসভার জল সরবরাহের (ডিজি) বিভাস মাইতি বলেন, “সব সম্ভাবনাই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অনেকটা এলাকা জুড়ে মাটি খুঁড়ে কাজ করতে হচ্ছে। ফলে একটুু সময় লাগছে। তবে সমস্যার দ্রুত সমাধান হয়ে যাবে।”