প্রকাশ্যে গুলি, জখম যুবক

সাতসকালে এক যুবককে গুলি চালিয়ে জখম করে চম্পট দিল এক দুষ্কৃতী। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে এন্টালি এলাকার সৈয়দ আহমেদ রোডে। পুলিশ জানায়, আহত যুবকের নাম আখতার আলম ওরফে বাবলু। তাঁর বাড়ি ঘটনাস্থলের পাশেই। পার্ক সার্কাস এলাকার একটি নার্সিংহোমে বাবলু এখন চিকিৎসাধীন। চিকিৎসকেরা জানান, গুলি তাঁর ডান পায়ের হাঁটু ছুঁয়ে বেরিয়ে গিয়েছে। ওই ঘটনায় সরফুদ্দিন ওরফে সরফু নামে স্থানীয় এক যুবককে খুঁজছে পুলিশ। সরফু আবার বাবলুর পরিচিত।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৫ জুন ২০১৪ ০১:৫১
Share:

সাতসকালে এক যুবককে গুলি চালিয়ে জখম করে চম্পট দিল এক দুষ্কৃতী। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে এন্টালি এলাকার সৈয়দ আহমেদ রোডে। পুলিশ জানায়, আহত যুবকের নাম আখতার আলম ওরফে বাবলু। তাঁর বাড়ি ঘটনাস্থলের পাশেই। পার্ক সার্কাস এলাকার একটি নার্সিংহোমে বাবলু এখন চিকিৎসাধীন। চিকিৎসকেরা জানান, গুলি তাঁর ডান পায়ের হাঁটু ছুঁয়ে বেরিয়ে গিয়েছে। ওই ঘটনায় সরফুদ্দিন ওরফে সরফু নামে স্থানীয় এক যুবককে খুঁজছে পুলিশ। সরফু আবার বাবলুর পরিচিত।

Advertisement

সৈয়দ আহমেদ রোডে বাবলুর একটি মাংসের দোকান রয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, এ দিন সকাল পৌনে ন’টা নাগাদ নিজের দোকানে বসেই বাবলু খবরের কাগজ পড়ছিলেন। সেই সময়ে সরফু গিয়ে খুব কাছ থেকে গুলি করলে বাবলু লুটিয়ে পড়েন। গুলির শব্দ পেয়ে ছুটে যান আশপাশের লোকজন। তখনই চম্পট দেয় সরফু। স্থানীয় বাসিন্দারা বাবলুকে প্রথমে ন্যাশনাল মেডিক্যালে নিয়ে যান। পরে তাঁকে একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হয়। ঘটনাস্থল থেকে বন্দুকের একটি গুলি-সহ ম্যাগাজিন উদ্ধার করেছে পুলিশ।

কিন্তু সরফু হঠাৎ বাবলুকে গুলি করল কেন? এ দিন নার্সিংহোম থেকে টেলিফোনে বাবলু বলেন, “অক্টোবর থেকে সরফু আমার কাছে দু’লক্ষ টাকা চাইছিল। বলেছিল, ওই টাকা না পেলে আমায় গুলি করবে।” পুলিশ জানায়, সোমবার রাতেও বাবলুর সঙ্গে সরফুর কথা কাটাকাটি হয়।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, কয়েক বছর আগে সরফু, বাবলু এবং স্থানীয় আরও দুই যুবক অখিল ও পাপ্পু সমাজবিরোধী কাজকর্মে লিপ্ত ছিল। কিন্তু ২০১০-এ প্রথম অখিল, পরে ২০১২-এ পাপ্পু দল ছেড়ে বেরিয়ে যায়। ওই দু’জনকেও সরফু গুলি চালিয়ে জখম করেছিল। বাবলুর দাদা রাজুর বক্তব্য, বছর তিন আগেই তাঁর ভাই খারাপ পথ ছেড়ে দিয়ে মাংসের দোকান খুলেছেন, সাত মাস আগে বিয়েও করেছেন।

ডিসি (ইএসডি) ধ্রুবজ্যোতি দে-ও জানান, বছর পাঁচ আগেও বাবলুর বিরুদ্ধে সমাজবিরোধী কাজকর্মে জড়িত থাকার অভিযোগ ছিল, তবে এখন আর সে সব অভিযোগ নেই। তাঁর বক্তব্য, এ দিনের ঘটনায় অভিযুক্ত ও পুলিশের খাতায় ‘ওয়ান্টেড’ সরফু ক’বছর ধরেই পালিয়ে বেড়াচ্ছে। ডিসি এ কথা জানালেও লালবাজারের কর্তাদের একাংশ মেনে নিয়েছেন যে, পুলিশের কাছে বাবলু ও সরফু দু’জনেরই এক সময়ে পরিচয় ছিল ‘সোর্স’ হিসেবে। আবার সরফু শাসক দলের মদতপুষ্ট দুষ্কৃতী বলেও পুলিশ ও স্থানীয়দের একাংশের মত। তবে শাসকদলের সঙ্গে সরফুর সম্পর্কের কথা মানতে চাননি ৫৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর আমিরউদ্দিন। তাঁর বক্তব্য, “এন্টালি এলাকায় রোজ রাতে মাদক ও চোলাই মদ বিক্রি হয়। এ সব যত দিন চলবে, অপরাধও তত বাড়বে। পুলিশের আরও বেশি সক্রিয় হওয়া প্রয়োজন।”

ডিসি ধ্রুবজ্যোতিবাবু বলেন, “এক সপ্তাহ আগে আমরা অভিযোগ পেয়েছি, এন্টালি বাজারের কাছে চোলাই মদ বিক্রি হয়। থানার পুলিশই তদন্ত করছে।” তবে এখনও সে রকম কোনও কিছুর সন্ধান পাওয়া যায়নি বলে তাঁর দাবি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন