প্রতারণার অভিযোগে ধৃত ৩

ভুয়ো সরকারি সাইট তৈরি করে চাকরির বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এবং পরে চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রার্থীদের থেকে টাকা নিয়ে চলছিল প্রতারণার ব্যবসা। কিন্তু সম্প্রতি স্কুল সার্ভিস কমিশনের ভুয়ো ওয়েবসাইট তৈরি করে চাকরি দিতে গিয়েই হল বিপত্তি। প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার হল তিন জন। ধৃতদের নাম অমিতকুমার গুপ্ত, অমিত আদক এবং অতনু নন্দী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৭ ডিসেম্বর ২০১৪ ০৩:০৬
Share:

ভুয়ো সরকারি সাইট তৈরি করে চাকরির বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এবং পরে চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রার্থীদের থেকে টাকা নিয়ে চলছিল প্রতারণার ব্যবসা। কিন্তু সম্প্রতি স্কুল সার্ভিস কমিশনের ভুয়ো ওয়েবসাইট তৈরি করে চাকরি দিতে গিয়েই হল বিপত্তি। প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার হল তিন জন। ধৃতদের নাম অমিতকুমার গুপ্ত, অমিত আদক এবং অতনু নন্দী।

Advertisement

পুলিশ জানায়, ১৩ নভেম্বর স্কুল সার্ভিস কমিশনের (এসএসসি) তরফে বিধাননগর পূর্ব থানায় অভিযোগ দায়ের করে জানানো হয়, তাদের দফতরে এসে কয়েক জন প্রার্থী চাকরি পেয়েছেন বলে দাবি করেন এবং প্রমাণ হিসেবে একটি ওয়েবসাইটের কথা বলেন। তাতেই সন্দেহ হয় কর্তৃপক্ষের। কারণ, এসএসসি-র আসল ওয়েবসাইট থেকে সেটি আলাদা। অভিযোগ দায়ের হয় পুলিশে। এর পরেই ১৩ ডিসেম্বর আদতে ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা অমিতকুমার গুপ্তকে দমদম পার্ক থেকে ও নিউ দিঘার বাসিন্দা অমিত আদককে নারকেলডাঙা থেকে ধরা হয়। জেরায় পুলিশ জানতে পারে, আরও ৫টি সরকারি দফতরের ভুয়ো ওয়েবসাইট বানিয়ে তারা অনেককেই প্রতারিত করেছে। ১৪ তারিখ দমদম পার্ক থেকে ধরা হয় তাদের আর এক সঙ্গী অতনু নন্দীকে। বি-টেক পাশ অতনু আদতে পশ্চিম মেদিনীপুরের বাসিন্দা।

ওই তিন অভিযুক্ত পুলিশকে জানায়, মোট ছ’টি ভুয়ো ওয়েবসাইট খুলে তারা কাজ করত। প্রথমে কলেজপড়ুয়াদের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানা হত, কে কী ধরনের সরকারি চাকরি করতে চায়। সেই মতো হদিস দেওয়া হত ওয়েবসাইটের এবং বলা হত টাকা দিলেই সরকারি চাকরি বাঁধা। পুলিশ জানিয়েছে, ২০১৩ সালে অমিতকুমার গুপ্ত ৫ কোটি টাকা প্রতারণার দায়ে গোলাবাড়ি থানার পুলিশের হাতে গ্রেফতারও হয়েছিল। এই চক্রের পিছনে আর কেউ যুক্ত কি না এবং কত জনের কাছ থেকে এখনও পর্যন্ত টাকা নেওয়া হয়েছে, খোঁজ নিয়ে দেখছে পুলিশ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement