পুলিশের বাড়িতেই চুরি পঞ্চসায়রে

খোদ পুলিশের ঘরেই চোরের হানা! পঞ্চসায়রের নয়াবাদ এলাকায় বাড়ি কড়েয়া থানার সাব-ইনস্পেক্টর অঞ্জন সেনের। তিনি এবং তাঁর পরিবারের কেউ বাড়ি না থাকার সুযোগ নিয়ে হানা দিয়েছে চোর। পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে চুরির ঘটনা টের পাওয়া যায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৭ মার্চ ২০১৪ ০৭:০০
Share:

খোদ পুলিশের ঘরেই চোরের হানা! পঞ্চসায়রের নয়াবাদ এলাকায় বাড়ি কড়েয়া থানার সাব-ইনস্পেক্টর অঞ্জন সেনের। তিনি এবং তাঁর পরিবারের কেউ বাড়ি না থাকার সুযোগ নিয়ে হানা দিয়েছে চোর। পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে চুরির ঘটনা টের পাওয়া যায়। তার পরেই তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে রাত পর্যন্ত কাউকেই পাকড়াও করা যায়নি।

Advertisement

পুলিশ সূত্রের খবর, মায়ের চিকিৎসার জন্য গত ররিবার দক্ষিণ ভারতে গিয়েছেন অঞ্জনবাবু। এ দিন সকালে অঞ্জনবাবুর বাড়িতে আসা খবরের কাগজ বিক্রেতা তালা ভাঙা দেখেন। এর পরেই প্রতিবেশীদের খবর দেন তিনি। প্রতিবেশীরা এসে দেখেন, ঘরের ভিতরে আলমারি খোলা। ঘর লণ্ডভণ্ড হয়ে রয়েছে। ওই প্রতিবেশীরাই অঞ্জনবাবু ও পুলিশে খবর দেন।

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার গভীর রাতে চুরিটি হয়ে গিয়েছিল। ভিন্ রাজ্যে যাওয়ার সময়ে বাড়ি দেখাশোনার জন্য স্থানীয় এক যুবককে রেখে গিয়েছিলেন অঞ্জনবাবু। ওই যুবক কাল রাতে ওই বাড়িতে ছিলেন কি না, সে ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন তদন্তকারীরা। বাড়ি থেকে কী কী চুরি গিয়েছে, তা নিয়েও নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ। তবে কারা এই চুরির সঙ্গে যুক্ত, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা-প্রধান পল্লবকান্তি ঘোষ।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, আগামী রবিবার কলকাতায় ফেরার কথা ওই সাব-ইনস্পেক্টরের। তিনি ফিরে বাড়ি-ঘর দেখার পরেই বোঝা যাবে, কী কী জিনিস চুরি গিয়েছে। এ দিন অঞ্জনবাবুর বাড়ি গিয়ে দেখা যায়, সদর দরজায় নতুন একটি তালা। প্রতিবেশীরা জানান, ওই তালাটি পুলিশই লাগিয়ে গিয়েছে।

খোদ পুলিশের বাড়িতে চোরের হানার পরে দক্ষিণ শহরতলির নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এলাকার বাসিন্দাদের বক্তব্য, ওই এলাকায় প্রায়ই চুরির ঘটনা লেগে থাকে। পুলিশের গাফিলতির অভিযোগও উঠেছে।

যদিও কলকাতা পুলিশের কর্তারা আলাদা করে এই ঘটনাটিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ। তাঁদের বক্তব্য, চোর তো পুলিশের বাড়ি কিংবা আমজনতার বাড়ি দেখে হানা দেয় না। তবে দক্ষিণ শহরতলির ওই এলাকায় চুরি-ছিনতাইয়ের দাপট রয়েছে, সে বিষয়টি মেনে নিয়েছেন পুলিশের কর্তারা। কলকাতা পুলিশের এক কর্তার বক্তব্য, “সমস্যা রয়েছে বলেই ওই এলাকায় নতুন থানা (পঞ্চসায়র) তৈরি করা হয়েছে। এই ধরনের অপরাধ কমানোর উপরেও জোর দিচ্ছি।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন