বিক্ষোভ অব্যাহত বেলঘরিয়ার ব্লেড কারখানায়

মাসে ১০ দিন কাজ হারানোর প্রতিবাদে বেলঘরিয়ায় ব্লেড কারখানার সামনে শনিবারও অবস্থান-বিক্ষোভ জারি রাখল তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি। মাসখানেক আগে আর্থিক মন্দার কারণ দেখিয়ে ওই কারখানা কর্তৃপক্ষ তাঁদের বেলুড় ও বেলঘরিয়া কারখানার দু’শোর বেশি ঠিকা শ্রমিককে মাসে ২৬ দিনের বদলে ১৬ দিন কাজ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছিলেন। কিন্তু অস্থায়ী শ্রমিকদের দাবি, মাসে অন্তত ২০ দিন কাজ দিতে হবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৩ অগস্ট ২০১৪ ০১:৫৮
Share:

মাসে ১০ দিন কাজ হারানোর প্রতিবাদে বেলঘরিয়ায় ব্লেড কারখানার সামনে শনিবারও অবস্থান-বিক্ষোভ জারি রাখল তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি। মাসখানেক আগে আর্থিক মন্দার কারণ দেখিয়ে ওই কারখানা কর্তৃপক্ষ তাঁদের বেলুড় ও বেলঘরিয়া কারখানার দু’শোর বেশি ঠিকা শ্রমিককে মাসে ২৬ দিনের বদলে ১৬ দিন কাজ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছিলেন। কিন্তু অস্থায়ী শ্রমিকদের দাবি, মাসে অন্তত ২০ দিন কাজ দিতে হবে। সেই দাবিতেই অবস্থানে বসেছে আইএনটিটিইউসি।

Advertisement

শ্রমিকদের পাশে দাঁড়িয়েছেন রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী তথা কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র। এ দিন কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এক প্রস্থ আলোচনার পরে মন্ত্রী বলেন, “ওই শ্রমিকদের আপাতত মাসে অন্তত ২০ দিন কাজ দিতে অনুরোধ করেছি।” কারখানা কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, গত ছ’মাস ধরে উৎপাদন অর্ধেকের বেশি কমে গিয়েছে। তাই স্থায়ী কর্মীদের বেতন দেওয়ার পরে ঠিকা কর্মীদের খরচ চালানো সম্ভব হচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে কাউকে ছাঁটাই না করে ঠিকা শ্রমিকদের মাসে ১৬ দিন কাজ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

কারখানা সূত্রের খবর, বেলঘরিয়ার ব্লেড কারখানায় ৭৩ জন শ্রমিক ঠিকার ভিত্তিতে কাজ করেন। তাঁদের অনেকেই ২০ বছর বা তার বেশি সময় ধরে আছেন। যে দুই ঠিকাদার অস্থায়ী শ্রমিকদের ওই কারখানায় কাজ দিয়েছেন, তাঁদের এক জন পারভেজ সিদ্দিকি বলেন, “শ্রমিকেরা মাসে কত দিন কাজ পাবেন তা কারখানা কর্তৃপক্ষই ঠিক করবেন।” তবে বেলঘরিয়া কারখানার তৃণমূল ঠিকা শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি বিমল সাহার দাবি, “কারখানা কর্তৃপক্ষ আর্থিক মন্দার যে যুক্তি দিচ্ছেন, তা ঠিক নয়। মাসে অন্তত ২০ দিন কাজ পাওয়ার দাবিতে অবস্থান বিক্ষোভ চলবে।” এ দিনই অবশ্য বেলুড় কারখানার অস্থায়ী শ্রমিকেরা অবস্থান বিক্ষোভ প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন