লেক এলাকা

বৃদ্ধা খুনে ধৃত প্রাক্তন পরিচারকই

লেক থানা এলাকার এক আবাসনে বৃদ্ধা খুনের ঘটনায় তাঁরই পুরনো পরিচারককে ওড়িশা থেকে গ্রেফতার করল পুলিশ। পুলিশ জানায়, ওই নাবালক পরিচারক এক সঙ্গীকে নিয়ে কমলাদেবী মিন্ত্রি নামে বৃদ্ধাকে খুন করে। পুলিশের দাবি, লুঠের উদ্দেশ্যেই এই খুন। ধৃতের থেকে লুঠ হওয়া কয়েক লক্ষ টাকা ও সোনার গয়নাও মিলেছে। পুলিশের দাবি, খুনের কথা স্বীকার করে নিয়েছে ধৃত পরিচারক।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০১ জানুয়ারি ২০১৫ ০০:০১
Share:

লেক থানা এলাকার এক আবাসনে বৃদ্ধা খুনের ঘটনায় তাঁরই পুরনো পরিচারককে ওড়িশা থেকে গ্রেফতার করল পুলিশ। পুলিশ জানায়, ওই নাবালক পরিচারক এক সঙ্গীকে নিয়ে কমলাদেবী মিন্ত্রি নামে বৃদ্ধাকে খুন করে। পুলিশের দাবি, লুঠের উদ্দেশ্যেই এই খুন। ধৃতের থেকে লুঠ হওয়া কয়েক লক্ষ টাকা ও সোনার গয়নাও মিলেছে। পুলিশের দাবি, খুনের কথা স্বীকার করে নিয়েছে ধৃত পরিচারক।

Advertisement

সোমবার রাতে ফ্ল্যাটের তালা খুলে কমলাদেবীকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন তাঁর দুই মেয়ে ও এক আত্মীয়। রাতেই ঘটনাস্থলে যান লেক থানার তদন্তকারী অফিসার, ডেপুটি কমিশনার গৌরব শর্মা এবং লালবাজারের গোয়েন্দারা। তদন্তে পুলিশ অনুমান করেছিল, পুরনো পরিচারক এই ঘটনায় যুক্ত থাকতে পারে। লালবাজার সূত্রে খবর, চার মাস আগে ওই পরিচারক ১২ দিনের জন্য বৃদ্ধার বাড়িতে নিযুক্ত হয়। মাস দেড়েক আগে ফের ১৫ দিনের জন্য তাকে নিযুক্ত করা হয়। কিন্তু অত্যধিক কামাই করার জন্য কমলাদেবী তাকে কাজ থেকে ছাটাই করেন। এর পর থেকেই বিভিন্ন সময়ে সে ফোন করে টাকাপয়সা চাইত বলে অভিযোগ।

পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার ওই নাবালককে ওড়িশার রাসেল থেকে গ্রেফতার করা হয়। বুধবার তাকে ওড়িশার আদালতে তোলা হয়। সেখান থেকে তাকে কলকাতায় আনা হবে। ধৃত পুলিশকে জানিয়েছে, ওই দিন এক সঙ্গী-সহ সে বৃদ্ধার ফ্ল্যাটে যায়। পরিচিত হওয়ায় কমলাদেবী তাদের ভিতরে ঢুকতে দেন। ঢুকেই তারা কমলাদেবীর চুল ধরে দেওয়ালে ধাক্কা মারে। মেঝেতে পড়ে যান বৃদ্ধা। এর পরে ধৃত এবং তার সঙ্গী দু’জনে মিলে বৃদ্ধার বুকে, পেটে লাথি-ঘুষি মারতে শুরু করে। পরে গলা টিপে ধরে শ্বাসরোধ করে তাঁকে খুন করা হয়। আলমারির চাবি কোথায় থাকে তা ওই পরিচারকের জানা ছিল। ফলে আলমারি খুলে কয়েক লক্ষ টাকার গয়না ও টাকা নিয়ে পালায় তারা।

Advertisement

তদন্তরারীরা জানান, ওড়িশার ঢেঙ্কানলের বাসিন্দা ওই নাবালক কর্মসূত্রে কলকাতায় থাকত। বর্তমানে সে হেস্টিংস পার্কের একটি বাড়িতে কাজ করছিল। রবিবারও কমলাদেবীর ফ্ল্যাট থেকে বেরিয়ে সে ওই বাড়িতে যায়। সঙ্গে বন্ধুও ছিল। পুলিশ জানায়, সোমবার সেখান থেকে বেরিয়ে দু’জনে ওড়িশার রাসেল থানা এলাকায় গা ঢাকা দেয়। লেক থানার তদন্তকারী অফিসার বাপ্পাদিত্য নস্করের নেতৃত্বে একটি দল ওড়িশায় গিয়ে তাকে গ্রেফতার করে। তবে ধৃতের সঙ্গীর এখনও খোঁজ মেলেনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন