সুপ্তিদেবীর বাড়িতে ফিঙ্গারপ্রিন্ট-বিশেষজ্ঞেরা। মঙ্গলবার। —নিজস্ব চিত্র
বরাহনগরের বৃদ্ধা খুনের ঘটনায় প্রোমোটার-চক্রের হাত রয়েছে বলে মনে করছেন নিহতের পরিবার ও পরিজনেরা। সোমবার যোগেন্দ্র বসাক রোডের বহু পুরনো একটি বাড়ি থেকে ওই বৃদ্ধার পচাগলা দেহ উদ্ধার করেছিল পুলিশ।
বরাহনগর থানার উল্টো দিকে সুপ্তি শেঠ (৭২) নামে ওই বৃদ্ধা যে বাড়িটির বাসিন্দা ছিলেন, সেটি ভেঙে পড়ার উপক্রম হলেও এখানকার জমির দাম গত কয়েক বছরে হু হু করে বেড়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারাই জানান, এখানকার জমির দাম কাঠাপ্রতি প্রায় পঞ্চাশ লক্ষ টাকা। সুপ্তিদেবী যে বাড়িতে খুন হন, সেটি ৯ কাঠা জমির উপরে। স্বভাবতই প্রোমোটারদের পাখির চোখ ছিল ওই জমিটি। মঙ্গলবারও দীর্ঘক্ষণ বরাহনগর থানায় বসেছিলেন সুপ্তিদেবীর বোন সুকৃতি সরকার। সরাসরি কারও নামে অভিযোগ না করলেও দিদির খুনে প্রোমোটার-চক্রের হাত থাকার আশঙ্কা করছেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, ‘‘এই বাড়িতে এক সময়ে কত স্বাধীনতা সংগ্রামী আসতেন, থাকতেন। দিদি কখনও চাননি বাড়িটা প্রোমোটারের হাতে চলে যাক। আমরাও চাই না।’’ এ দিন সুপ্তিদেবীর পাঁচ জন আত্মীয়কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, এ দিন দুপুর ১টা নাগাদ তিন জন ফিঙ্গারপ্রিন্ট বিশেষজ্ঞ সুপ্তিদেবীর বাড়িতে যান। যে ঘরে ওই বৃদ্ধা খুন হন, সেটি-সহ বাড়ির বিভিন্ন অংশ খুঁটিয়ে দেখেন, ছবি তোলেন তাঁরা। ফরেন্সিক-বিশেষজ্ঞদেরও যাওয়ার কথা থাকলেও তাঁরা বুধবার যাবেন বলে জানায় পুলিশ। ব্যারাকপুরের গোয়েন্দা-প্রধান সি সুধাকর বলেন, ‘‘নির্দিষ্ট কোনও অভিযোগ জানায়নি বৃদ্ধার পরিবার। জানালে নিশ্চয়ই ব্যবস্থা নেব।’’