নাগরিকদের স্বার্থে আগামী মাসের মধ্যে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো প্রকল্পের কাজ শুরুর বিষয়টি বিবেচনা করতে বলল কলকাতা হাইকোর্ট। শুক্রবার প্রকল্পের ঠিকাদার সংস্থাকে এমনই প্রস্তাব দিয়েছেন বিচারপতি সৌমিত্র পাল।
কলকাতা ও হাওড়া, দুই শহরের নাগরিকদের কথা ভেবে ইস্ট-ওয়েস্ট প্রকল্পের কাজ অবিলম্বে শুরু করতে গত সেপ্টেম্বরেই ঠিকাদার সংস্থাকে নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি নাদিরা পাথেরিয়া। প্রকল্পের জট কাটাতে এ দিন ঠিকাদার সংস্থাকে বিচারপতি সৌমিত্র পালের প্রস্তাব, “কলকাতার নাগরিকদের কথা মাথায় রেখে ভেবে দেখুন প্রকল্পের কাজ মার্চ মাসের মধ্যে শুরু করা যায় কি না।” হাইকোর্টের আইনজীবীদের একাংশের অনুমান, ওই প্রস্তাব মেনে ঠিকাদার সংস্থা হাওড়া ময়দান থেকে কাজ শুরু করলে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর প্রাথমিক জট অনেকটাই কাটতে পারে।
কলকাতা মেট্রো রেলওয়ে কর্পোরেশন (কেএমআরসিএল) কর্তৃপক্ষ চান, মেট্রো প্রকল্প প্রস্তাবিত রুটে যাবে না বিকল্প রুটে, তা ঠিক হওয়ার আগে হাওড়া ময়দান থেকে সুড়ঙ্গ খোঁড়া শুরু করুক ঠিকাদার সংস্থা। সে জন্য তাদের টাকা মেটাতে কেএমআরসিএল-কে নির্দেশ দেন বিচারপতি পাথেরিয়া। কেএমআরসিএল-এর তরফে এ দিন জানানো হয়, ঠিকাদার সংস্থাকে ১৮ কোটি ৬৫ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে।
ঠিকাদার সংস্থা প্রস্তাব দিয়েছিল, সুড়ঙ্গ খোঁড়ার যন্ত্র প্রয়োজনে লালদিঘির কাছে তোলা যেতে পারে। কিন্তু কেএমআরসিএল জানায়, এমনও হতে পারে, ওই যন্ত্র মাটির উপরে তোলার প্রয়োজনই হবে না। তখন ঠিকাদার সংস্থা জানায়, যন্ত্র তুলে কোথায় রাখা হবে, তা নিয়ে ঐকমত্য না হলে কাজ শুরু করা মুশকিল।
সব শুনে বিচারপতি পাল ঠিকাদার সংস্থাকে আশ্বস্ত করে জানান, কাজ শুরু করতে যাতে অসুবিধা না হয়, নির্দেশ দেওয়ার আগে তিনি তা দেখবেন। ১১ ফেব্রুয়ারি তিনি এই মামলার চূড়ান্ত নির্দেশ দিতে পারেন।