মূল ভবনে পোস্টার বন্ধ করল প্রেসিডেন্সি

প্রেসিডেন্সি হেরিটেজ বা ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠানের স্বীকৃতি পেয়েছে অনেক আগেই। সেই ঐতিহ্য ধরে রাখতে মূল ভবনকে পোস্টার-মুক্ত এলাকা বলে ঘোষণা করলেন প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য হেরিটেজ এলাকাতেও এই নিষেধ বলবৎ হচ্ছে। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ ও অন্যান্য ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে সোমবার জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের মুখপাত্র তথা ডিন অব স্টুডেন্টস দেবশ্রুতি রায়চৌধুরী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১০ জুন ২০১৪ ০২:৫৩
Share:

প্রেসিডেন্সি হেরিটেজ বা ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠানের স্বীকৃতি পেয়েছে অনেক আগেই। সেই ঐতিহ্য ধরে রাখতে মূল ভবনকে পোস্টার-মুক্ত এলাকা বলে ঘোষণা করলেন প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য হেরিটেজ এলাকাতেও এই নিষেধ বলবৎ হচ্ছে। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ ও অন্যান্য ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে সোমবার জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের মুখপাত্র তথা ডিন অব স্টুডেন্টস দেবশ্রুতি রায়চৌধুরী।

Advertisement

ডিন অব স্টুডেন্টস জানান, বিভিন্ন সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ভবনের পোর্টিকোয় ছাত্র সংসদ এবং অন্যান্য ছাত্র সংগঠন নিজেদের দাবিদাওয়া জানিয়ে পোস্টার লাগাত। কিন্তু এতে ভবনের সৌন্দর্য ক্ষুণ্ণ হচ্ছিল। তাই সকলকে নিয়ে সম্প্রতি আলোচনায় বসেন প্রেসিডেন্সি-কর্তৃপক্ষ। সেখানেই সব পক্ষের সম্মতিতে ঠিক হয়েছে, মূল ভবন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে যে-সব জায়গা হেরিটেজ হিসেবে ঘোষিত, সেখানে কোনও পোস্টার সাঁটা বা আঁকা যাবে না।

দেবশ্রুতি জানান, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে দীর্ঘ যাত্রায় প্রেসিডেন্সি ২০০ বছরে পা দিতে চলেছে। এই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত সকলেরই তাই প্রেসিডেন্সির ঐতিহ্যের প্রতি সম্মান জানানো কর্তব্য। সেই জন্যই যেখানে-সেখানে পোস্টার সাঁটা, ছবি আঁকা থেকে সকলকে বিরত থাকতে অনুরোধ করেন নতুন উপাচার্য অনুরাধা লোহিয়া। ছাত্র সংগঠনগুলি তাতে সাড়াও দিয়েছে।

Advertisement

প্রেসিডেন্সির ছাত্র সংসদের সভাপতি সুমাল্য মুখোপাধ্যায় এ দিন বলেন, “কর্তৃপক্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে স্টুডেন্ট কর্নার গড়ে দেবেন বলে জানিয়েছেন। সেখানে নির্দিষ্ট বোর্ডে আমরা পোস্টার লাগাতে বা আঁকার কাজ করতে পারব। তাতে আমাদের কোনও অসুবিধা নেই।”

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল বাড়ি অরবিন্দ ভবনেও যেখানে-সেখানে পোস্টার সাঁটা নিষিদ্ধ। এই ব্যাপারে নিষেধ মানা হয় রবীন্দ্রভারতীতেও। কিন্তু নিয়ম থাকলেও তা রূপায়ণ করার ক্ষেত্রে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কিছুটা পিছিয়ে। রেজিস্ট্রার বাসব চৌধুরী জানান, দ্বারভাঙা ভবন বা হেরিটেজ বলে চিহ্নিত অন্যান্য জায়গায় পোস্টার লাগানো বা আঁকার ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়-কর্তৃপক্ষের নিষেধ রয়েছে ঠিকই। কিন্তু কেউই তা মানেন না। এমনকী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে মাইক বাজিয়েও কোনও মিছিল বা প্রতিবাদ জানানো যাবে না বলে অনেক আগেই ছাত্র সংসদ বা কর্মচারী সংগঠনগুলিকে জানানো হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে সেই নিষেধাজ্ঞা বলবৎ করা যায়নি। এই সব অনিয়ম ঠেকাতে বিশ্ববিদ্যালয়-কর্তৃপক্ষই বা কড়া পদক্ষেপ করেন না কেন, সেই প্রশ্নের সদুত্তর নেই রেজিস্ট্রারের কাছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন