যুবকের মৃত্যুতে জেরা বান্ধবীকে, এখনও ধন্দ

সল্টলেকের সুকান্তনগরের যুবক সুমন দাসের অস্বাভাবিক মৃত্যুতে এক কিশোরীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। সোমবার রাতে সুমনের পরিবারের তরফে ওই কিশোরী-সহ আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। রবিবার রাত পৌনে ১১টা নাগাদ নিউ গড়িয়া ও বাঘা যতীন স্টেশনের মাঝে রেল লাইনের পাশ থেকে সুমনের দেহ উদ্ধার করে যাদবপুর রেল পুলিশ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৯ এপ্রিল ২০১৪ ০১:৫২
Share:

সল্টলেকের সুকান্তনগরের যুবক সুমন দাসের অস্বাভাবিক মৃত্যুতে এক কিশোরীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। সোমবার রাতে সুমনের পরিবারের তরফে ওই কিশোরী-সহ আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়।

Advertisement

রবিবার রাত পৌনে ১১টা নাগাদ নিউ গড়িয়া ও বাঘা যতীন স্টেশনের মাঝে রেল লাইনের পাশ থেকে সুমনের দেহ উদ্ধার করে যাদবপুর রেল পুলিশ। রেল পুলিশের এক কর্তা জানান, রাত ৯টা নাগাদ গড়িয়ার স্টেশন মাস্টার রেল-কর্তৃপক্ষ ও রেল পুলিশকে জানান, নিউ গড়িয়া ও বাঘা যতীন স্টেশনের মাঝে রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ এক যুবক ট্রেনের সঙ্গে ধাক্কা খান। ময়না তদন্তের রিপোর্টে ভারী কিছুর আঘাতে মৃত্যুর কথা বলা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তের পরে এবং পূর্ব রেলের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলে রেল পুলিশের অনুমান, শিয়ালদহমুখী একটি লোকাল ট্রেনের ধাক্কাতেই মৃত্যু হয়েছে সুমনের। তবে তাঁর পরিবারের তরফে অভিযোগ করা হয়, ওই কিশোরীর সঙ্গে সুমনের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু কিশোরীর পরিবারের কেউ কেউ তা মেনে নেননি। সেই কারণে পরিকল্পনা করে সুমনকে মেরে ফেলা হয়েছে।

ওই কিশোরী অবশ্য পুলিশকে জানিয়েছে, রবিবার সুমনের সঙ্গে তিনি নিউ গড়িয়া স্টেশনের পাশে বেড়াতে গিয়েছিলেন। বাড়ি ফিরতে দেরি হওয়ায় তাঁরা রেল লাইন ধরে বাঘা যতীন ফিরছিলেন। রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ সুমন রেল লাইনের ধারে দাঁড়িয়ে বোতল থেকে জল খাচ্ছিলেন। ওই সময়ই একটি লোকাল ট্রেন পিছন থেকে এসে ধাক্কা মারে তাঁকে।

Advertisement

নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রেল লাইনের ধারে ছিটকে পড়ে যান তিনি। পুলিশ কিশোরীর দাবি যাচাই করে দেখছে। তবে কিশোরীর দাবি ঘিরে কয়েকটি ক্ষেত্রে কিছুটা ধন্দও তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীদের একাংশ। বিশেষত, আচমকা কেন ওই দিনই সুমনকে ডাকা হল? কেন তাঁরা স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় গেলেন? দুর্ঘটনার আগে সুমন বা ওই কিশোরীর অবস্থান কোথায় ছিল তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন