ভোগান্তির যাত্রা। ছবি:স্বাতী চক্রবর্তী
বৃষ্টি নেই। তবু জমে জল। রোদ উঠলেও শুকোয় না। মাটির নীচ থেকে অনবরত বেরনো সেই জলেই চলে বাসনমাজা, স্নান। রাস্তার ধারে জমে থাকা ওই জলে নোংরা আটকে বন্ধ হয়ে গিয়েছে নিকাশি। জল জমে মশার আঁতুড়ঘর হয়ে উঠেছে এলাকা। জলের চাপে পিচ রাস্তা বসে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতির শিকার টালা ব্রিজ সংলগ্ন বিটি রোডের একাংশের বাসিন্দারা।
কলকাতা পুরসভার ছয় নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত বাসিন্দারা এক সকালে উঠে দেখেন মাটির নীচ থেকে খুব সরু ফিনকি দিয়ে জল বেরিয়ে আসছে। ভিজে যাচ্ছে রাস্তার অল্প জায়গা। ধীরে ধীরে সরু ফিনকি থেকে জল মোটা হয়ে পড়তে শুরু করল। বারবার এই সমস্যার কথা জানানো হয়েছে পুরসভাকে। এই অভিযোগ স্থানীয়দের।
এর ঠিক পাশেই রয়েছে রেল কোয়ার্টার্স। বাসিন্দা রমেশ যাদব জানাচ্ছেন, কোয়ার্টার্স থেকে বেরনোর মূল পথ একটাই। কোয়ার্টার্স ঘেঁষা রাস্তাটি পেরিয়েই টালা ব্রিজের নীচের বি টি রোডের ওই অংশে উঠতে হয়। সম্ভবত মাটির নীচের কোন পাইপ ফুটো হয়েই এই জল বেরচ্ছে। দিনরাত ওই জল মাড়িয়েই চলছে যাতায়াত।
স্থানীয় পুর প্রতিনিধি সুমন সিংহকে এই বিষয়ে একাধিক বার অভিযোগও জানিয়েছেন বাসিন্দাদের একাংশ। তবু কোনও কাজ হয়নি।
সুমনদেবীর সঙ্গে এ দিন যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এই নিয়ে বহু বার পুরসভাকে বলা হয়েছে। ওখানে কাজ করছে না কেন জানি না। এক নম্বর বরোর চেয়ারম্যান তরুণ সাহা বলেন, “বড় কিছু সমস্যা হয়েছে। টালা থেকে ছ’টা মেন লাইন কলকাতা শহরে জল সরবরাহ করে। সম্ভবত তারই একটি, কুমোরটুলি মেন লাইনে ফাটল হয়ে জল বেরোচ্ছে। চেষ্টা করা হচ্ছে দ্রুত চিহ্নিত করার। তা না হলে অযথা খোঁড়াখুড়ি করে লাভ নেই। কারণ, ওই কাজ করতে হলে উত্তর কলকাতার একাংশের জল বন্ধ রাখতে হবে। তাই দেরি হচ্ছে।”