শিক্ষিকাকে অপহরণের অভিযোগে গ্রেফতার ১

এক স্কুলশিক্ষিকাকে অপহরণের অভিযোগে গ্রেফতার হলেন এক ব্যক্তি। বুধবার, উল্টোডাঙা এলাকার ঘটনা। ধৃতের নাম রাজু মুখোপাধ্যায়। বাড়ি রাজারহাটে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জেনেছে, জমি বিক্রি নিয়েই গোলমালের জেরেই এই ঘটনা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২১ মার্চ ২০১৪ ০১:৩৯
Share:

এক স্কুলশিক্ষিকাকে অপহরণের অভিযোগে গ্রেফতার হলেন এক ব্যক্তি। বুধবার, উল্টোডাঙা এলাকার ঘটনা। ধৃতের নাম রাজু মুখোপাধ্যায়। বাড়ি রাজারহাটে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জেনেছে, জমি বিক্রি নিয়েই গোলমালের জেরেই এই ঘটনা।

Advertisement

পুলিশ জানায়, বুধবার দুপুরে লালবাজারের ১০০ ডায়ালে ফোন করে এক ব্যক্তি জানান, তাঁর স্ত্রীকে অপহরণ করে উল্টোডাঙার একটি বাড়িতে আটকে রেখে ৮লক্ষ টাকা মুক্তিপণের দাবি জানানো হচ্ছে। এর পরেই লালবাজার কন্ট্রোল থেকে খবর যায় মানিকতলা ও উল্টোডাঙা থানায়। ফোন নম্বরের সূত্র ধরে পুলিশ বিকেলে নীলাঞ্জনা ঘটক নামে ওই শিক্ষিকাকে উদ্ধার করে। রাতেই রাজু-সহ সাত জনের বিরুদ্ধে মুক্তিপণ চেয়ে হুমকি এবং মারধরের অভিযোগ দায়ের করেন নীলাঞ্জনাদেবী।

নীলাঞ্জনাদেবী জানান, তিনি মুরারীপুকুরের ‘আদর্শ বিদ্যাপীঠ’-এর প্রধান শিক্ষিকা। বুধবার সকাল ১১টা নাগাদ স্কুল থেকে বেরিয়ে তিনি ১৫ নম্বর বাসস্ট্যান্ডে আসেন। ওই শিক্ষিকার অভিযোগ, সেখানেই সাত-আট জন দুষ্কৃতী তাঁকে ঘিরে ধরে মারধর করে। চলন্ত বাসের সামনে ফেলে দেওয়ার হুমকি দেয়। এর পরে চার জন তাঁকে জোর করে একটি অটোয় চাপিয়ে উল্টোডাঙা এলাকার এক বাড়িতে নিয়ে যায়। ওই শিক্ষিকা পুলিশকে জানান, সেখানে তাঁকে জোর করে আটকে রেখে আট লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চাওয়া হয়। না হলে তাঁকে খুন করা হবে বলে হুমকিও দেওয়া হয়। ঘটনাস্থলে রাজু এবং তাঁর পরিবারের সদস্যরা ছিলেন বলে জানান নীলাঞ্জনাদেবী। পুলিশ জানায়, এর মধ্যেই ওই শিক্ষিকা নিজের স্বামীকে ফোন করে মুক্তিপণের কথা জানান। ফোন পেয়ে উল্টোডাঙার ওই বাড়িতে আসেন তিনি। সেখান থেকেই পুলিশকে ফোন করে পুরো ঘটনাটি জানান।

Advertisement

যদিও নীলাঞ্জনাদেবীর অভিযোগ নিয়ে এখনই সরাসরি কোনও মন্তব্য করতে নারাজ পুলিশ। তবে প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানিয়েছে, বছর দুয়েক আগে নীলাঞ্জনাদেবী রাজুকে এয়ারপোর্ট এলাকায় একটি জমি বিক্রি করেন। রাজুকে জেরায় পুলিশ জেনেছে, সেই জমি দখল নিতে গিয়ে রাজু দেখেন, অন্য এক জন নিজেকে মালিক বলে দাবি করছেন। বিষয়টি রাজু নীলাঞ্জনাকে জানালে তিনি কোনও রকম সহযোগিতা করেননি, টাকাও ফেরত দেননি। টাকা ফেরত নিয়েই এই গোলমাল বলে পুলিশের একাংশের দাবি। পুলিশের দাবি, জমি নিয়ে গোলমালের কথা স্বীকারও করেছেন নীলাঞ্জনাদেবী। যদিও টাকা ফেরতের কথা জানতেন না বলেই দাবি করেছেন ওই শিক্ষিকা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন