সব সেতু কেন নীল-সাদা, প্রশ্নের মুখে পুরসভা

শহরের কয়েকটি সেতু ও উড়ালপুলে নীল-সাদা রং করা নিয়ে ফের বিতর্ক উঠল কলকাতা পুরসভার অধিবেশনে। পুরসভার অধীনে নেই এমন কয়েকটি সেতু এবং উড়ালপুল সংস্কার ও নীল-সাদা রং করার জন্য পুরসভা প্রায় ৫৩ লক্ষ টাকা খরচ করেছে, যা নিয়মবিরুদ্ধ বলেই দাবি বিরোধী সিপিএম কাউন্সিলরদের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৫ জুলাই ২০১৪ ০০:৩৪
Share:

শহরের কয়েকটি সেতু ও উড়ালপুলে নীল-সাদা রং করা নিয়ে ফের বিতর্ক উঠল কলকাতা পুরসভার অধিবেশনে। পুরসভার অধীনে নেই এমন কয়েকটি সেতু এবং উড়ালপুল সংস্কার ও নীল-সাদা রং করার জন্য পুরসভা প্রায় ৫৩ লক্ষ টাকা খরচ করেছে, যা নিয়মবিরুদ্ধ বলেই দাবি বিরোধী সিপিএম কাউন্সিলরদের। সিএজি’র (ক্যাগ) রেসিডেন্ট অডিট দফতরও এ ব্যাপারে পুরসভায় ‘অবজারভেশন’ দিয়েছে বলে জানান তাঁরা। মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় অবশ্য বলেন, “শহরের উন্নতি দেখে গাত্রদাহ হচ্ছে বিরোধীদের। তাই বকবক করছেন।” যদিও সিএজি পুরসভাকে জানিয়েছে, ওই খরচ বৈধ নয়।

Advertisement

বৃহস্পতিবার পুর অধিবেশনে বিরোধী দলের মুখ্য সচেতক অমল মিত্র প্রশ্ন করেন, পুরসভার অধীনে নেই এমন কোন কোন উড়ালপুলের সংস্কার ও রং করা হয়েছে। মেয়র শোভনবাবু তার উত্তরে জানান, শহরের বুকে যে সম্পত্তি রয়েছে তা রক্ষণাবেক্ষণের কাজ পুরসভার। সরকারের নির্দেশ নিয়েই ওই কাজ করা হয়েছে। ওই সব সেতুতে নীল-সাদা রং করা নিয়ে আরও একটি প্রশ্ন ছিল কংগ্রেস কাউন্সিলর প্রকাশ উপাধ্যায়ের। জবাবে পুরসভার ইঞ্জিনিয়ারিং দফতরের মেয়র পারিষদ অতীন ঘোষ বারোটির তালিকা দিয়ে জানান প্রায় ৫৩ লক্ষ টাকা খরচ করা হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে ঢাকুরিয়া, বিজন সেতু, গড়িয়াহাট উড়ালপুল, আলিপুর ব্রিজ, দুর্গাপুর ব্রিজ এবং পার্ক সার্কাস ৪ নম্বর সেতু-সহ আরও কয়েকটি। এগুলি মূলত কে আই টি, এইচ আর বি সি, কেএমডিএ, সেচ দফতর এবং পূর্ত দফতরের অধীনে।

অমলবাবু বলেন, “পুরবাসীর করের টাকায় তাঁদের পরিষেবা দেওয়াই পুরসভার কাজ। অন্য দফতরের হাতে থাকা সেতু, উড়ালপুলের জন্য পুরসভার ভাণ্ডার থেকে খরচ বেহিসেবি।” ক্যাগের চিঠিতেও বলা হয়েছে কলকাতা পুর প্রশাসন তার এক্তিয়ারের বাইরে গিয়ে এ কাজ করেছে। এ ব্যাপারে মেয়র শোভনবাবু বলেন, “ক্যাগকে উত্তর পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।” যদিও তাতে কী লেখা হয়েছে তা জানাননি মেয়র। পুরসভা সূত্রের খবর, ক্যাগ ওই জবাব পেয়ে ফের জানতে চেয়েছে খরচের ওই টাকা কি সরকার পুরসভাকে ফেরত দেবে? এর উত্তর এখনও পুর কর্তৃপক্ষ দেননি বলেই পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন