পাইকপাড়া

হদিস মেলেনি গঙ্গায় তলিয়ে যাওয়া শিশুর

আড়াই মাসের মেয়েকে গঙ্গায় ছুড়ে ফেলার আগে জানানো হয়েছিল তার মাকে। পুলিশের কাছে জেরায় এমনটাই দাবি করেছে শিশুটির বাবা, পাইকপাড়া কাণ্ডে অভিযুক্ত শেখর শেঠ। পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবারও গঙ্গায় তল্লাশি চালিয়ে ওই শিশুটির কোনও খোঁজ মেলেনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৮ নভেম্বর ২০১৪ ০০:৫৬
Share:

আড়াই মাসের মেয়েকে গঙ্গায় ছুড়ে ফেলার আগে জানানো হয়েছিল তার মাকে। পুলিশের কাছে জেরায় এমনটাই দাবি করেছে শিশুটির বাবা, পাইকপাড়া কাণ্ডে অভিযুক্ত শেখর শেঠ। পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবারও গঙ্গায় তল্লাশি চালিয়ে ওই শিশুটির কোনও খোঁজ মেলেনি।

Advertisement

তদন্তকারীদের দাবি, বেশ কয়েক দফা জিজ্ঞাসাবাদের পরে শেখর জানায়, শিশুটি অসুস্থ অবস্থায় মারা যায়। তার পরে মা মিনা বিশ্বাসকে জানিয়েই সে মঙ্গলবার সকালে মেয়েটিকে গঙ্গায় ফেলে দিতে যায় এবং দুপুরে বাড়ি ফিরে আসে।

কিন্তু তদন্তকারীরা জেনেছেন, মিনাদেবীর সামনেই আড়াই মাসের মেয়েটিকে হত্যা করা হয়। তখন শেখরকে বাধা দিলেও গায়ের জোরে পেরে ওঠেননি তিনি। শিশুটিকে বালি ব্রিজের নীচে গঙ্গায় ফেলে দুপুরে মিনাদেবীর কাছে ফিরে আসে শেখর। এর পরে দু’জনে মিলে স্কুটারে চড়ে ফের মেয়েটিকে খুঁজতে যায় বলে জানা গিয়েছে।

Advertisement

এ দিন সিঁথি এলাকায় মিনাদেবীর বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় তিন তলা বাড়ির সব জানলা বন্ধ। বার বার ডাকাডাকি করা সত্ত্বেও কারও সাড়া মেলেনি। মুখে কুলুপ এঁটেছেন পড়শিরাও। প্রায় আধ ঘণ্টা ডাকাডাকির পরে ওই বাড়ি থেকে এক জন মহিলা এসে জানান, “এখানে এই নামে কেউ থাকেন না।”

তদন্তকারীরা জেনেছেন, টাকা-পয়সা নিয়ে মিনাদেবী এবং শেখরের মধ্যে নিয়মিত অশান্তি হত। অর্থ উপার্জনের জন্য বিভিন্ন রকমের আপত্তিকর কাজ করতেও তাঁকে চাপ দিত শেখর। এমনকী শেখর তাঁর উপর প্রায়ই শারীরিক নির্যাতন করত বলে পুলিশকে জানিয়েছেন মিনাদেবী। অভিযোগ, শিশুটিকে গঙ্গায় ফেলে দিতে যাওয়ার আগেও মিনাদেবীকে মারধর করে শেখর। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষাও করায়।

তবে শেখর এবং মিনাদেবীর বক্তব্যেও একাধিক অসঙ্গতি এবং স্ববিরোধিতা রয়েছে বলে দাবি তদন্তকারীদের। বৃহস্পতিবার শেখরকে শিয়ালদহ কোর্টে তোলা হয়। তবে দু’জনের বয়ানে প্রচুর অসঙ্গতি থাকায় গোয়েন্দারা এ নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারেননি। এ দিন লালবাজারের গোয়েন্দা প্রধান পল্লবকান্তি ঘোষ বলেন, “দু’জনকেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। মনে হচ্ছে ঝগড়া থেকেই এই পরিণতি।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন