West Bengal Recruitment Scam

‘ইডি মিথ্যা বলছে, ভুল জায়গায় তদন্তকে নিয়ে যাচ্ছে’! কেন্দ্রীয় সংস্থাকে ‘চ্যালেঞ্জ’ কুন্তলের

শুক্রবার নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে আর এক অভিযুক্ত তাপস মণ্ডলকেও সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা সুজয়কৃষ্ণের গ্রেফতারি নিয়ে প্রশ্ন করেন। আদালতে ঢোকার আগে তাপস বলেন, “যা বলার কুন্তল বলবে।”

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ জুন ২০২৩ ১২:২১
Share:

নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে অভিযুক্ত কুন্তল ঘোষ। —ফাইল চিত্র

ইডির বিরুদ্ধে অসত্য কথা বলার এবং তদন্তকে ভুল পথে চালিত করার অভিযোগ তুললেন নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে অভিযুক্ত কুন্তল ঘোষ। শুক্রবার আদালতে পেশ করার আগে তৃণমূলের বহিষ্কৃত এই যুবনেতাকে সংবাদমাধ্যমের তরফে ‘কালীঘাটের কাকু’ ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের গ্রেফতারি নিয়ে এবং তাপস মণ্ডলের বক্তব্য নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। পুলিশের গাড়ি থেকে নামতে নামতেই কুন্তল বলেন, “ইডি মিথ্যা কথা বলছে। তদন্তকে ভুল জায়গায় নিয়ে যাচ্ছে।” একই সঙ্গে ইডির বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে তাঁকে বলতে শোনা যায়, “ইডির যদি ক্ষমতা থাকে, আমার স্টেটমেন্টটা (বক্তব্য) আদালতে পেশ করা হোক।”

Advertisement

শুক্রবার নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডের মামলায় আলিপুরের বিশেষ আদালতে পেশ করা হবে কুন্তল, তাপসদের। তাপসকেও শুক্রবার সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা সুজয়কৃষ্ণের গ্রেফতারি নিয়ে প্রশ্ন করেন। আদালতে ঢোকার আগে তাপস বলেন, “যা বলার কুন্তল বলবে।” তাপসের মুখেই প্রথম শোনা গিয়েছিল ‘কালীঘাটের কাকু’ ওরফে সুজয়কৃষ্ণের কথা। নিয়োগে দুর্নীতি সংক্রান্ত তদন্তে নাম উঠে আসে গোপাল দলপতিরও। তাঁর মুখেও ‘কাকু’র নাম শোনা গিয়েছিল। এর পরেই গোয়েন্দাদের আতশকাচের তলায় চলে আসেন সুজয়কৃষ্ণ। তাপস সিবিআইয়ের কাছে দাবি করেছিলেন, অযোগ্য প্রার্থীদের চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়ার সময় কুন্তল নাকি আশ্বাস দিয়ে বলতেন, ‘‘কালীঘাটের কাকুর সঙ্গে কথা হয়ে গিয়েছে। চিন্তার কোনও কারণ নেই।’’

ইডি সূত্রের খবর, নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত তাপস ‘কালীঘাটের কাকু’র সঙ্গে বেআইনি নিয়োগ সংক্রান্ত যোগাযোগের কথা তদন্তকারীদের জানিয়েছিলেন। গত বছর নভেম্বরে তাপসের বয়ান অনুযায়ী, ৩২৩ জন টেট প্রার্থীর তালিকা সুজয়কে পাঠানো হয়েছিল। তাঁর কাছ থেকে সেই তালিকা পাঠানো হয় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তৎকালীন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের কাছে।

Advertisement

ইডির দাবি, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে কুন্তলের যে বয়ান তারা রেকর্ড করেছিল, সেখানে কুন্তল জানান, ২০১৪ সালের টেট প্রার্থীদের নিয়ে আলোচনার জন্য তিনি ‘কালীঘাটের কাকু’র সঙ্গে যোগাযোগ করেন। কয়েক জন চাকরিপ্রার্থীকে বেআইনি ভাবে টেট পাশ করিয়ে শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ করাতে চেয়েছিলেন কুন্তল। সুজয় তখন কুন্তলকে আশ্বস্ত করে বলেছিলেন, পার্থের সঙ্গে কথা বললেই তাঁর কাজ হয়ে যাবে। এই সময়েই কুন্তল সুজয়কে দেন ৭০ লক্ষ টাকা। সুজয়ের কথাতেই তিনি পার্থকে দেন আরও ১০ লক্ষ টাকা। যদিও ইডি জানিয়েছে, ৩০ মে ‘কালীঘাটের কাকু’ তাঁদের প্রশ্নের মুখে এই লেনদেনের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন