সরকারি জমি দখলমুক্ত করার দাওয়াই দিলেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
আবাসনের জন্য সরকারি জমি লিজে নিয়েও যাঁরা ফেলে রেখেছেন, তাঁদের এ বার জরিমানা দিতে হবে। জরিমানা না দিলে লিজ পুনর্নবীকরণ করা হবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্যের নগরোন্নয়ন দফতর।
মূলত বাম আমলেই কলকাতার রুবি, পাটুলি, বৈষ্ণবঘাটা টাউনশিপ এলাকা ছাড়া কল্যাণীতে আবাসন তৈরির জন্য অনেক জমি লিজে নেওয়া হয়। কিন্তু বছরের পর বছর সেই সব জমিতে আবাসন তৈরি না করে ফেলে রাখা হয়েছে। এমন প্রায় ৭০০ প্লটকে চিহ্নিত করেছে নগরোন্নয়ন দফতর। এই ধরনের আরও খালি প্লট আর কোথাও রয়েছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যা জানা গিয়েছে, দফতরের পক্ষ থেকে জরিমানার চিঠি লিজ হোল্ডারদের কাছে পাঠানোর প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে।
রাজ্যের নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘‘এমআইজি, এলআইজি এবং এইচআইজি আবাসন তৈরির জন্য জমি লিজে দেওয়া হয়। কিন্তু বহু ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে জমি খালি পড়ে রয়েছে। আবাসন তৈরি করা হয়নি। তাই জরিমানা করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। মূলত এইচআইজি এবং এমআইজি আবাসন তৈরির জন্য যাঁরা জমি পেয়েছেন তাদেরই জরিমানা করা হবে।’’
সূত্রের খবর, নগরোন্নয়ন দফতরের অধীনে থাকা শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি উন্নয়ন পর্ষদ, আসানসোল-দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদ এবং কেএমডিএ-র থেকে পাওয়া জমিও ফেলে রাখা হয়েছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বহু ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, সরকারের সঙ্গে চুক্তি করে প্রায় ২০ বছর আগে আবাসন তৈরির জন্য জমি নিয়ে ফেলে রাখা হয়েছে।
ইতিমধ্যেই সল্টলেকে যে সমস্ত জমি নিয়ে ফেলে রাখা হয়েছে, সেগুলিকে চিহ্নিত করে দফতরের পক্ষ থেকে সেখানে বোর্ড লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। একই ভাবে অন্যত্রও জমি চিহ্নিত করে বোর্ড লাগানো হবে বলে দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে।