কফিন দেখেই ভাঙল বাঁধ। মঙ্গলবার গঙ্গাসাগরে জওয়ান বিশ্বজিৎ ঘোড়ইয়ের বাড়িতে।
কফিন-বন্দি হয়ে বাড়ি ফিরলেন উরিতে বাংলার দুই শহিদ দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাগরের বিশ্বজিৎ ঘোড়ই এবং হাওড়ার জগৎবল্লভপুরের গঙ্গাধর দলুই। মঙ্গলবার সকালে তাঁদের দেহ পৌঁছয় গ্রামে। দু’জায়গাতেই শুধু পরিজন নয়, গোটা গ্রামের আবেগ-অশ্রুর মাঝেই জওয়ানের কাঁধে চেপে শ্মশানে রওনা দেয় কফিন। নিয়ম মেনে দুই শহিদকে ‘গার্ড অফ অনারে’ শেষ বিদায় জানান জওয়ানরা। গঙ্গাধরের মা শিখাদেবী ছেলের মুখ শেষবারের মতো দেখতে চেয়েছিলেন। কিন্তু দেহ এতটাই বিকৃত হয়ে গিয়েছিল, যে জওয়ানরা মায়ের ইচ্ছে রাখতে পারেননি।
শেষ যাত্রায় শহিদ। উরিতে জঙ্গি হানায় নিহত জওয়ান বিশ্বজিৎ ঘোড়ইয়ের শেষকৃত্যে সঙ্গী সেনা।
সাগরের রবীন্দ্রনাথবাবু আবার ছেলে হারানোর যন্ত্রণার মাঝেও বলেন, ‘‘বিশ্বজিৎ দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছে। সুযোগ থাকলে বড় ছেলেকেও সেনাবাহিনীতে পাঠাব।’’ এ দিন নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, দুই শহিদের পরিবারকে দু’লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। ওই দুই পরিবারের একজন করে সদস্য হোমগার্ডের চাকরি পাবে বলেও ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
ছবি: দিলীপ নস্কর।