CPI(M)

কংগ্রেসের জন্য এ বার গণ্ডি টানতে চায় বামেরা

আব্বাস সিদ্দিকীর নতুন দলের সঙ্গে সমঝোতার সিদ্ধান্তও প্রায় পাকা। সে ক্ষেত্রে আব্বাসের জন্য আসন বরাদ্দ হবে বাম ও কংগ্রেস, দু’পক্ষের ভাগ থেকেই।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ জানুয়ারি ২০২১ ০৪:০১
Share:

প্রতীকী ছবি।

প্রথম দু’রাউন্ডে কংগ্রেসকে ‘উদার’ হস্তে আসন ছাড়া হয়েছে। তৃতীয় রাউন্ড থেকে এ বার আসন ভাগে রাশ টানতে চায় বামফ্রন্ট। বাম শরিকদের সঙ্গে শুক্রবার দিনভর সিপিএমের দ্বিপাক্ষিক আলোচনা থেকে এই ইঙ্গিতই উঠে আসছে।

Advertisement

প্রাথমিক ভাবে ১৩০টি আসনের তালিকা আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে পাঠিয়ে জোটের দর কষাকষি শুরু করেছিল কংগ্রেস। আসন-রফা নিয়ে বৈঠক শুরু হওয়ার পরে প্রথম দফায় ৪৪ এবং পরের দফায় ৪৮টি আসন কংগ্রেসের জন্য ছাড়া হয়েছে‌। অর্থাৎ কংগ্রেসের ভাগে এখনও পর্যন্ত গিয়েছে ৯২টি আসন। যা গত বার তারা যত কেন্দ্রে প্রার্থী দিয়েছিল, তার সমান। বামেদের ভাগে এসেছে প্রথমে ৩৩ এবং পরে ৬৮টি আসন। এর পরে বাকি ১০১টি আসন নিয়ে আলোচনা শুরু হবে। বাম শিবিরের আলোচনায় ঠিক হয়েছে, তৃতীয় দফায় কংগ্রেসকে আর বেশি আসন ছাড়া যাবে না। নইলে জোটের মধ্যে বাকিদের জায়গা দেওয়া মুশকিল হয়ে যাবে। আর শরিকদেরও একেবারে ঝেড়ে ফেলা সিপিএমের পক্ষে সম্ভব নয়।

আব্বাস সিদ্দিকীর নতুন দলের সঙ্গে সমঝোতার সিদ্ধান্তও প্রায় পাকা। সে ক্ষেত্রে আব্বাসের জন্য আসন বরাদ্দ হবে বাম ও কংগ্রেস, দু’পক্ষের ভাগ থেকেই। আব্বাসকে জোটে টানার প্রস্তাবে প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বেরও নীতিগত আপত্তি নেই। কত আসনে আব্বাসের ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্টের (আইএসএফ) সঙ্গে রফা হতে পারে, সেই বিষয়ে খোঁজখবর নিচ্ছেন কংগ্রেস নেতারা। বাম ও কংগ্রেস নেতাদের যুক্তি, বিজেপির মোকাবিলায় সংখ্যালঘু, দলিত, জনজাতি-সহ অনগ্রসর সম্প্রদায়কে কাছে টানার জন্য আব্বাসদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে। যার প্রভাব পড়তে পারে ভোটের সমীকরণে। প্রদেশ কংগ্রেসের এক নেতার কথায়, ‘‘অস্বাভাবিক সংখ্যার জন্য আমরা নিশ্চয়ই জেদ ধরব না! কিন্তু আমাদের হাতেও এমন সংখ্যায় আসন চাই, যার থেকে প্রয়োজেনে আব্বাসদের মতো কাউকে জায়গা দেওয়া যায়।’’

Advertisement

বাম সূত্রের খবর, দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় সিপিএম নেতৃত্বকে শরিক নেতারা এ দিনও ফের জানিয়েছেন, আসন ছাড়তে তাঁদের আপত্তি নেই। কিন্তু মুর্শিদাবাদ, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, পুরুলিয়া বা মালদহের মতো জেলায় শরিকদের অল্প হলেও আসন চাই। এই ব্যাপারে কংগ্রেসকে বোঝানোর দায়িত্ব নিতে হবে সিপিএমকে। তবে অধীর চৌধুরীদের মনোভাব দেখে সিপিএম ঘরোয়া ভাবে আরএসপি-র মতো দলকে আশ্বাস দিয়ে রেখেছে, প্রয়োজন হলে মুর্শিদাবাদে সিপিএমের পাওয়া আসন থেকে কোনও একটি তারা শরিককে ছেড়ে দেবে। তবে সব জেলায় আবার এই ‘মডেল’ চলবে না।

এরই পাশাপাশি ভাবনায় রয়েছে এনসিপি বা আরজেডি-র মতো দলের জন্য আসনও। ব্রিগেড সমাবেশে এ বার রাহুল গাঁধীর সঙ্গে শরদ পওয়ার, তেজস্বী যাদবদের আনতে চান বাম নেতারা। তাঁদের ‘সম্মান’ রক্ষার্থেই ওই দলগুলিকে আসন দিতে হবে। আগামী ৭ ফেব্রুয়ারির বৈঠকে কংগ্রেসকে এই যুক্তিও দিতে চান বিমান বসুরা। তবে তার আগেও দু’পক্ষের আলোচনা হতে পারে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন