সহবাসের পরে ধর্ষণ। বন্ধুর বাড়ি যাওয়ার নাম করে ওরা চলে গিয়েছিল দিঘায়। ছেলেটি বলেছিল, ‘চাকরিটা হয়ে গেলেই বিয়ে...।’ পরে ছেলের চাকরি হল ঠিকই, কিন্তু বিয়ে হল না। অফিসে এক সহকর্মিণীর প্রেমে পড়ল সে। ভেঙে গেল আগের সম্পর্ক। মেয়েটা পুলিশকে জানাল, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তার সঙ্গে সহবাস করা হয়েছিল, এখন সে তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা।
কী করবে পুলিশ? ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৫ ধারা বলছে, ভুল বুঝিয়ে সহবাস করা ধর্ষণেরই সামিল, তাই ধর্ষণের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য ৩৭৬ ধারাতেই সাজা হবে। তাই অভিযোগের সত্যতা আছে বুঝলে পুলিশ ছেলেটিকে ধরতে পারে।
জরুরি হল:
• অভিযোগ হলে তার ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হবে। ধর্ষণের প্রমাণ সরাসরি না মিললেও মেয়েটির কথা আদালত গুরুত্ব দিয়ে বিচার করবে।
• কত দিন আগের ঘটনা, পুরনো ঘটনা হলে এত দিন মেয়েটি জানায়নি কেন, ছেলেটিকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে কি না, পুলিশ তা খতিয়ে দেখবে।
• মেয়েটিকে সত্যিই ঠকানো হয়ে থাকলে, ছেলেটির অন্তত সাত বছর জেল। মামলা চলাকালীন বিয়ে করতে রাজি হয়ে এর আগে বেশ কিছু অভিযুক্ত ছাড় পেয়েছে। সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্ট জানায়, বিয়েতে রাজি হলেও সাজা কমবে না।
যদি সত্যিই ছেলেটিকে ফাঁসানো হয়ে থাকে? হয়তো সত্যিই মেয়েটিকে ভুল বোঝায়নি ছেলেটি। মেয়েটির মতো সে-ও বিশ্বাস করত, তাদের বিয়ে হবে। ভালবেসেই তারা সহবাস করেছিল। কিন্তু পরে প্রেম মরে যায়। তাই সে সরে গিয়েছে। একে কি ঠকানো বলে? কোন যুক্তিতে ধর্ষণের মামলা হবে? ছেলেটি আদালতে যুক্তি, ব্যাখ্যা, সাক্ষ্যপ্রমাণ দিয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলে মিলতে পারে রেহাই। এ নিয়ে সংশয় বা ধোঁয়াশা ছেলেটির পক্ষে যাবে। এ দেশের আইন নিরাপরাধকে সাজা দেওয়ার বিপক্ষে। দোষ প্রমাণের দায় অভিযোগকারী তথা সরকারের।