চিতাবাঘ ধরার চেষ্টা চলছে।
সাত সকালে দু’টো রক্তাক্ত অবস্থায় ঘুরে বেড়ানো ছাগল দেখেই সন্দেহ হয়েছিল গ্রামবাসীদের। খোঁজাখুজি করতে গিয়েই রহস্যভেদ হল। এ কীর্তি আর কারও নয়, শহরের ইতিউতি ঘুরে বেড়ানো এক চিতাবাঘের! সোমবার সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ রায়গঞ্জের কলেজপাড়ার সংশোধনাগার সংলগ্ন এলাকার ঘটনা। ঘুমপা়ড়ানি গুলি করে চিতাবাঘটিকে উদ্ধার করেছেন বন দফতরের কর্মীরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এ দিন সকালে কলেজপাড়ায় চিতাবাঘটিকে দেখা যাওয়ার পরই এলাকায় হুলস্থূল পড়ে যায়। এলাকার বাসিন্দারা সকলেই বাইরে বেরিয়ে আসেন। ভিড় দেখে ঘাবড়ে যায় চিতাবাঘটিও। প্রাণ বাঁচাতে ছুটোছুটি শুরু করে দেয় সে-ও। ইতিমধ্যে কলেজপাড়া থেকে ছুটে ২ কিলোমিটার দূরে গোয়ালপাড়ায় পালিয়ে যায়। সেখানেও একই অবস্থা হয় চিতাবাঘটির। পরিবেশকর্মীদের একটি সংস্থার তরফ থেকে বাঘটিকে উদ্ধারের জন্য দল পাঠানো হয়। কুকুর ধরার জাল দিয়ে বাঘ ধরার চেষ্টা চালান তাঁরা। কিন্তু ব্যর্থ হন। উল্টে চিতাবাঘের নখের আঘাতে জখম হন ওই সংস্থার ৬ জন। প্রাথমিক চিকিৎসার পর হাসপাতাল থেকে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। পরে তাড়া খেয়ে চিতাবাঘটি সেখান থেকে পালিয়ে চলে যায় ইন্দিরা কলোনিতে। পিছন পিছন ছুটতে শুরু করে এলাকার বাসিন্দারাও। ইন্দিরা কলোনির একটি ফাঁকা বাড়ির মধ্যে ঢুকে পড়ে সে। এর পরই বাইরে থেকে এলাকার বাসিন্দারা বাঘটিকে আটকে দেয়। জানলা দিয়ে ঘুমপাড়ানি গুলি করে উদ্ধার করা হয়েছে চিতাবাঘটিকে।
তবে রায়গঞ্জে চিতাবাঘ ঢুকে পড়ার ঘটনা খুব একটা স্বাভাবিক নয়। এর সঙ্গে চোরাপাচারের যোগ থাকতে পারে বলে অনুমান বন দফতরের কর্তাদের। কারণ, ঘটনাস্থল জাতীয় সড়কের ধারেই। গাড়ি করে পাচার করার সময় কোনও ভাবে চিতাবাঘটি ছাড়া পেয়ে ওই এলাকায় ঢুকে পড়তে পারে বলে অনুমান করছেন তাঁরা।
দেখুন ভিডিও:
আরও পড়ুন: সাইকেল তুমি কার? প্রতীক নিয়ে লড়াইয়ে এ বার বাবা-ছেলে