দক্ষিণের চিঠি

এখানকার মেডিকাল কলেজ ও হাসপাতালের জন্য বাঁকুড়া শহর গুরুত্বপূর্ণ। বাঁকুড়ার পার্শ্ববর্তী পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, লাগোয়া রাজ্য ঝাড়খন্ড রাজ্যের মরণাপন্ন রোগীদের ভিড় হাসপাতালে বাড়ছে। এখানে আসার একমাত্র উপায় বাস, ট্রেকার ও অন্যান্য যানবাহন।

Advertisement
শেষ আপডেট: ২৩ মে ২০১৬ ০১:১৭
Share:

ক’বছর ধরেই বর্ষায় কাঁসাই নদীর জলে প্লাবিত হচ্ছে তমলুকের বিস্তীর্ণ এলাকা। জল না নামায় কচুরিপানায় মজেছে খাল। কুরপাইয়ে। ছবি:পার্থপ্রতিম দাস

দাবি সঠিক পরিষেবার

Advertisement

এখানকার মেডিকাল কলেজ ও হাসপাতালের জন্য বাঁকুড়া শহর গুরুত্বপূর্ণ। বাঁকুড়ার পার্শ্ববর্তী পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, লাগোয়া রাজ্য ঝাড়খন্ড রাজ্যের মরণাপন্ন রোগীদের ভিড় হাসপাতালে বাড়ছে। এখানে আসার একমাত্র উপায় বাস, ট্রেকার ও অন্যান্য যানবাহন। বীর সিধুকানুডহর স্থিত কাটজুড়ি ডাঙ্গা একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড়। বিভিন্ন জেলার বাস এখান দিয়ে যাতায়াত করে। মোড়ের দু’দিকে দুটি যাত্রী প্রতীক্ষালয়ে যে মহিলা ও পুরুষ শৌচাগার আছে, তা ব্যবহারের অযোগ্য। মহিলারা যাতে এটি ব্যবহার করতে পারেন তার ব্যবস্থা করা দরকার। এ ছাড়া জনসংখ্যা বৃদ্ধির তুলনায় রাস্তা বাড়ছে না। রাস্তার দু’দিক দখল করে দোকানপাট বসেছে। ফুটপাথ বলে কিছুই নেই। সিভিক ভলান্টিয়াররা বাস, অটো, টোটো, রিকশা, ট্রেকার নিয়ন্ত্রণে অপারগ। বাঁকুড়া শহরবাসী ও অগণিত পথচারী নিরাপদে পথ চলার অধিকার পাবে কী!

শ্রীসনগিরি হেমব্রম
প্রতাপবাগান, বাঁকুড়া

Advertisement

অনিয়মিত ঘোষণা স্টেশনে, অভিযোগ

আমি দক্ষিণ-পূর্ব রেলওয়ের হাওড়া-খড়্গপুর শাখার নিয়মিত যাত্রী। আন্দুল স্টেশন থেকে প্রতিদিন দুপুরে ট্রেন ধরি। এই স্টেশনকে মডেল স্টেশন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু ট্রেনের ঘোষণা এখানে অনিয়মিত। কোন ট্রেন কখন আসবে ঘোষণা করা হয় না। এই নিয়ে অনেক বার অভিযোগ জানিয়েছেন যাত্রীরা। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। দুপুর ১২টার পর থেকে এই সমস্যা আরও বাড়ে। নির্ধারিত সময়ে ট্রেন না এলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা স্টেশনে বসে থাকতে হয়। কিন্তু সেই ট্রেন কোন স্টেশনে রয়েছে বা আসতে আরও কতক্ষণ সময় লাগতে পারে সেটা ঘোষণা করা হয় না। আবার স্টেশনে যে মাইক রয়েছে সেটার অবস্থা এতটাই খারাপ যে ঘোষণার সময় তা স্পষ্ট করে শোনাও যায় না। এমনকী স্টেশন মাস্টারের অফিসে ফোন করে ট্রেনের সময় নিয়ে জানতে চাওয়া হলে বিরক্তি প্রকাশ করেন রেলকর্তারা।

অনির্বাণ ঘোষ, আন্দুল

দুর্বিষহ আমতলা

দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার গুরুত্বপূর্ণ জনপদ আমতলা। চার রাস্তার মোড়ের যানজট দিন দিন দুর্বিষহ হয়ে উঠছে। বহু মানুষ সঠিক সময়ে কর্মক্ষেত্রে বা গন্তব্যে পৌঁছতে পারছেন না। বৃদ্ধবৃদ্ধা, অসুস্থ, আশঙ্কাজনক রোগীদের যানজটে আটকে থেকে নাভিশ্বাস ওঠে। আমতলা মোড় যানজট মুক্ত করতে রাস্তা সন্নিহিত ব্যবসায়ীদের অপসারণ করে রাস্তা চওড়া করা দরকার।

আসফাক আহমেদ
দোস্তপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা

বাস-গুমটি জরুরি

৫৭ এ বাসরুটটি হাওড়া স্টেশন থেকে সালকিয়া, কোনা, বেলগাছিয়া, জগদীশপুর, একসরা, কালীপুর ঘুরে চণ্ডীতলা যায়। একটি বাস ডোমজুড় যায়। বাসগুলো সব্জিবাজারে দাঁড়ালে যানজট হয়। চণ্ডীতলা বাজারে স্থায়ী বাসগুমটি নির্মাণ করা দরকার।

এ এফ কামরুদ্দিন আহমদ
বাঁদপুর, হুগলি

ট্রেনযাত্রীদের দাবি

এখানকার বহু মানুষকে নানা কাজে আন্দুলে যেতে হয়। তাই সকালে মেদিনীপুর থেকে আন্দুলে, এবং বিকালে আন্দুল থেকে মেদিনীপুর যাওয়ার অন্তত ১টি টয়লেটযুক্ত দু’টি প্যাসেঞ্জার ট্রেন চালু হলে প্রচুর যাত্রীর উপকার হবে।

জয়ন্ত মুখোপাধ্যায়
মীরবাজার, পশ্চিম মেদিনীপুর

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement