বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার, অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর (দূরশিক্ষা বিভাগ)-সহ পাঁচটি পদের নিয়োগ নিয়ে তদন্ত শুরু করল রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতর। পুরুলিয়ার সিধু-কানহো-বীরসা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দীপকরঞ্জন মণ্ডলকে সভাপতি করে পাঁচ জনের তদন্ত কমিটি তৈরি করে দিয়েছেন উচ্চশিক্ষা দফতরের প্রধান সচিব বিবেক কুমার। গত সপ্তাহেই ওই পাঁচটি পদে পাঁচ জনের নিয়োগ সংক্রান্ত সমস্ত নথি তদন্তকারী দলের কাছে জমা দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ নিয়ে বারবার অভিযোগ আসছিল। বিষয়টি আচার্যও জানেন। ওই সব নিয়োগ নিয়ে তদন্ত শুরু হয়ে গিয়েছে।” উচ্চশিক্ষা দফতর সূত্রে খবর, গত ২৬ ডিসেম্বর বিবেক কুমার একটি নির্দেশ জারি করে জানান, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই সব পদে নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগের নিরপেক্ষ তদন্ত করা হবে। এর কয়েক দিন পরেই দীপকরঞ্জনবাবুর নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি গড়া হয়। সপ্তাহ দু’য়েক আগে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়, ওই পাঁচটি পদের নিয়োগ সংক্রান্ত সমস্ত নথি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও সিনিয়র আধিকারিকের হাত দিয়ে তদন্ত কমিটির সভাপতির হাতে দিয়ে আসতে হবে। ওই নথি পাওয়ার আট সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত শেষ করে উচ্চশিক্ষা দফতর ও আচার্য তথা রাজ্যপালের দফতরে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। দীপকরঞ্জনবাবু বলেন, “নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই তদন্ত-রিপোর্ট জমা দেব।”
উচ্চশিক্ষা দফতর সূত্রে খবর, গত অক্টোবরের শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্যের কাছে গোলাপবাগ ক্যাম্পাসের কয়েক জন শিক্ষক নাম গোপন রেখে চিঠি দেন। তাতেই নিয়োগ সংক্রান্ত অভিযোগ ছিল। এ নিয়ে দেবকুমারবাবু কিছু বলতে চাননি। এড়িয়ে গিয়েছেন বর্তমান ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য নিমাই সাহা এবং প্রাক্তন উপাচার্য স্মৃতিকুমারবাবুও।