— ফাইল চিত্র।
উত্তর বাংলাদেশ থেকে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের উপরে সরে এসেছে ঘূর্ণাবর্ত। দোসর রয়েছে অক্ষরেখা। এই দুইয়ের প্রভাবে কলকাতা-সহ রাজ্যের সব জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। কোনও কোনও জেলায় সম্ভাবনা রয়েছে ভারী বৃষ্টির।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর বিশেষ বুলেটিন প্রকাশ করে জানিয়েছে, উত্তর বাংলাদেশের উপরে যে ঘূর্ণাবর্ত ছিল, তা সরে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের উপরে অবস্থান করছে। অন্য দিকে, উত্তর-পূর্ব আরব সাগর থেকে দক্ষিণ বাংলাদেশ পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে একটি অক্ষরেখা। সেই অক্ষরেখাও গাঙ্গেয় বঙ্গের উপর দিয়ে গিয়েছে। পাশাপাশি, পশ্চিমে শ্রীগঙ্গানগর থেকে পূর্বে দিঘার উপর দিয়ে চলে গিয়েছে মৌসুমি অক্ষরেখা। তার প্রভাবে আগামী দু’দিন দক্ষিণবঙ্গে ঝড়বৃষ্টি চলবে। কিছু জেলায় হতে পারে ভারী বৃষ্টি। ২ থেকে ৪ অগস্ট উত্তরবঙ্গে দুর্যোগের পূর্বাভাস রয়েছে।
আগামী সোমবার পর্যন্ত দক্ষিণের সব জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দক্ষিণের কিছু জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সে জন্য সতর্কতাও জারি করা হয়েছে। বুধবার কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায় বৃষ্টির জন্য হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, নদিয়ায় ভারী (৭ থেকে ১১ সেন্টিমিটার) বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। দক্ষিণের সব জেলায় বৃষ্টির পাশাপাশি ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার গতিতে ঝড় হতে পারে। বৃহস্পতিবার হুগলি, দুই ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, নদিয়ায় ঝড়বৃষ্টির জন্য হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বাকি জেলাতেও বৃষ্টি হবে, তবে সতর্কতা জারি করার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি।
উত্তরবঙ্গে সপ্তাহ জুড়েই চলবে দুর্যোগ। তবে সপ্তাহান্তে বৃষ্টির পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে। বুধবার জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, মালদহে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। সেখানে জারি করা হয়েছে সতর্কতা। বৃহস্পতিবার থেকে আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, দক্ষিণ দিনাজপুরে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি রয়েছে। শুক্রবার থেকে দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুরে শুরু হবে ভারী বৃষ্টি। সপ্তাহান্তে সেখানে ভারী থেকে অতি ভারী (৭ থেকে ২০ সেন্টিমিটার) বৃষ্টির জন্য সতর্কতা জারি করা হয়েছে।