ভোগাবে নমো কেয়ার: অমিত

রাজ্য বাজেটের জবাবি ভাষণের পরে অমিতবাবু বলেন, ‘‘যে-ভাবে রাজ্যগুলির সঙ্গে আলোচনা এবং পরিকল্পনা ছাড়াই একতরফা এই প্রকল্প ঘোষিত হয়েছে, তাতে ‘নমো কেয়ার’ গরিবের বোঝা হয়ে দাঁড়াবে। নোটবন্দি, জিএসটি-র ক্ষেত্রে মানুষের যেমন ভোগান্তি হয়েছিল, এ ক্ষেত্রেও সেই আশঙ্কা থাকছে।’’ কেন?

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০৫:০৯
Share:

অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। —ফাইল চিত্র।

দেশের ৫০ কোটি মানুষকে স্বাস্থ্য বিমার সুবিধা দিতে কেন্দ্রীয় বাজেটে ‘আয়ুষ্মান ভারত’ প্রকল্প ঘোষণা করেছে নরেন্দ্র মোদীর সরকার। ‘ন্যাশনাল হেল্‌থ প্রোটেকশন স্কিম’-এর সেই ঘোষণাকে বুধবার নোট বাতিল এবং তাড়াহুড়োয় জিএসটি চালু করার সঙ্গে তুলনা করলেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র।

Advertisement

রাজ্য বাজেটের জবাবি ভাষণের পরে অমিতবাবু বলেন, ‘‘যে-ভাবে রাজ্যগুলির সঙ্গে আলোচনা এবং পরিকল্পনা ছাড়াই একতরফা এই প্রকল্প ঘোষিত হয়েছে, তাতে ‘নমো কেয়ার’ গরিবের বোঝা হয়ে দাঁড়াবে। নোটবন্দি, জিএসটি-র ক্ষেত্রে মানুষের যেমন ভোগান্তি হয়েছিল, এ ক্ষেত্রেও সেই আশঙ্কা থাকছে।’’ কেন?

অর্থমন্ত্রীর ব্যাখ্যা, স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে রাজ্যের ৬০ লক্ষ মানুষ সর্বাধিক পাঁচ লক্ষ টাকার বিমার আওতায় আছেন। এতে খরচ হয় ১৩০০ কোটি টাকা। আর ৫০ কোটি মানুষের বিমার জন্য কেন্দ্রের বরাদ্দ ২০০০ কোটি! অমিতবাবুর কথায়, ‘‘এটা জাস্ট ব্লাফ (পুরো ধাপ্পা)। দুম করে প্রকল্প ঘোষণা করে এখন কেন্দ্র বলছে, রাজ্যকেও এই প্রকল্পের অংশীদার করা হবে।’’ অর্থমন্ত্রীর প্রশ্ন, যদি অংশীদারই করবেন, রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা করেননি কেন? একতরফা ঘোষণা করে এখন রাজ্যের ঘাড়ে আর্থিক দায় চাপানো কেন?

Advertisement

স্বাস্থ্য বিভাগের অনেকেরই প্রশ্ন, সব রাজ্যেরই নিজস্ব বিমা প্রকল্প আছে। এ রাজ্যে বিমা প্রকল্পের সঙ্গে সঙ্গে ফ্রি ওষুধ এবং ডায়াগনস্টিক পরীক্ষার সুবিধা রয়েছে। নমো কেয়ার চালু হলে সেগুলোর কী হবে?

রাজ্য কি তা হলে ওই কেন্দ্রীয় প্রকল্পে যোগ দেবে না? স্পষ্ট জবাব দেননি অমিতবাবু। স্বাস্থ্য ভবনের এক শীর্ষ কর্তা বলেন, ‘‘এখনও কোনও নথি আসেনি। তাই সিদ্ধান্ত নেওয়া যাচ্ছে না। রাজ্য প্রয়োজনে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের কথা কেন্দ্রকে জানাবে।’’ স্বাস্থ্যকর্তাদের অনেকে অবশ্য মনে করেন, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য বিমার সঙ্গে স্বাস্থ্যসাথীর তুলনা করা ভুল। কারণ, স্বাস্থ্যসাথী সরকারের বিভিন্ন ক্ষেত্রের অস্থায়ী কর্মীদের জন্যই। যাঁরা সরকারি সংস্থার সঙ্গে যুক্ত নন, তাঁরা এই সুবিধা পান না। কিন্তু কেন্দ্রের স্বাস্থ্য বিমা আমজনতার জন্য।

অর্থ দফতরের এক কর্তা জানান, ওই প্রকল্পে কেন্দ্রের ৬০% অংশীদারি থাকলে বাকি অর্থ কী ভাবে বরাদ্দ হবে, তা খতিয়ে দেখা হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন