মালদহের সভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: ভিডিয়ো থেকে নেওয়া।
মমতা রাজ্যবাসীর উদ্দেশে বলেন, ‘‘এসআইআরে ফর্ম পূরণ করুন। নয়তো আপনাদের নাম কেটে দেবে। পরিযায়ী শ্রমিকদেরও বলছি ফর্ম পূরণ করতে।’’ ওয়াকফ আইন নিয়ে মালদহ থেকে সরব হন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘আমরা ওয়াকফ আইন তৈরি করিনি। বিজেপি সরকার করেছে। এখানে কারও সম্পত্তিতে হাত দিতে দেব না।’’
মমতা কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে নিশানা করে বলেন, ‘‘জোর করে যদি আপনারা জরুরি অবস্থা জারি করতে চান, তবে মানুষ ক্ষমা করবে না।’’ তাঁর হুঁশিয়ারি, ‘‘আজ দিল্লিতে ক্ষমতায় আছ, কাল থাকবে না।’’
এসআইআর প্রক্রিয়া নিয়ে নির্বাচন কমিশনকে আক্রমণ করেন মমতা। তিনি জানান, তাড়াহুড়ো করে এসআইআর চালু করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বিরুদ্ধে চক্রান্তের অভিযোগ তোলেন মমতা। তাঁর কথায়, ‘‘এসআইআর করেছেন অমিত শাহ। চালাকির দ্বারা মহৎ কাজ হয় না।’’ তার পরেই রাজ্যবাসীকে আশ্বস্ত করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘কাউকে ডিটেনশন ক্যাম্পে যেতে হবে না। কারও নাম বাদ যাবে না। আপনারা ভয় পাবেন না।’’
মালদহের সভা থেকেও কেন্দ্রীয় বঞ্চনার কথা তোলেন মমতা। তিনি বলেন, তাঁর কাছে অনেকে জানতে চান, কেন্দ্র টাকা বন্ধ করে দেওয়ার পরেও কী ভাবে এত প্রকল্প চালাচ্ছেন। মমতার কথায়, ‘‘আমাদের এখন একটাই কর, জিএসটি। করের সব টাকা কেন্দ্র এখান থেকে তুলে নিয়ে যাচ্ছে। আমরা প্রায় এক লক্ষ ৮৭ হাজার কোটি টাকা কেন্দ্রের থেকে পাই। এখন তো শুনছি সিগারেটের টাকাও কেটে নেবে।’’ কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে নিশানা করে মমতা বলেন, ‘‘সবই তো দখল করছ। সারা ভারতবর্ষ দখল করে লজ্জা হয় না। দখল করো, কিন্তু গণতান্ত্রিক পথে। তবে জোর করে কিছু দখল করতে গেলে জরুরি অবস্থাকে মনে করিয়ে দেয়।’’
সামনের বছরই বিধানসভা নির্বাচন বাংলায়। তবে মালদহের সভা থেকে মমতা জানান, তিনি ভোট চাইতে আসেননি। এসেছেন মানুষের পাশে দাঁড়াতে। মমতার কথায়, ‘‘আমি ভোট চাইতে আসিনি। আপনাদের মনে যে দুশ্চিন্তা, সেই দুশ্চিন্তা দূর করতে এসেছি।আপনাদের পাশে দাঁড়াতে এসেছি। আমি সকলকে বলতে চাই, আপনারা নিশ্চিন্তে থাকুুন। কেউ ভয় পাবেন না। ভীত হবেন না।’’ তাঁর সরকার পশ্চিমবঙ্গবাসীর জন্য কী কী জনকল্যাণমূলক প্রকল্প নিয়েছে, তাতে কারা কী উপকার পাচ্ছেন, তারও ব্যাখ্যা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি এ-ও বলেন, ‘‘আজীবন লক্ষ্মীর ভান্ডার থাকবে।’’