বাঁকুড়ার বড়জোড়ার জনসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার দুপুরে। ছবি: সংগৃহীত।
এসআইআর-এর শুনানিকেন্দ্রের বাইরে দলের বিএলএ-দের ক্যাম্প করে বসতে বললেন মুখ্যমন্ত্রী। জনগণের উদ্দেশে তাঁর বার্তা, “কেউ ভয় পাবেন না। দল আপনাদের পাশে আছে। সরকারও পাশে আছে।” শুনানিকেন্দ্রের ভিতর কেন বিএলএ-দের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না, তার ব্যাখ্যা দিয়ে মমতার দাবি, বিজেপির লোক নেই বলেই কোনও দলের বিএলএ-দেরই ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। বাঁকুড়ার জনসভা থেকে বিজেপি এবং কমিশনকে তোপ দাগেন মুখ্যমন্ত্রী। শুনানিতে বয়স্ক মানুষদের হেনস্থা করার অভিযোগ তোলেন তিনি।
শাহের দুই-তৃতীয়াংশ আসনে জেতার দাবিকেও কটাক্ষ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রত্যয়ী সুরে জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গে জিতবে তৃণমূলই।
বাঁকুড়ার জনসভা থেকে মমতা বিজেপি এবং কমিশনকে তোপ দেগে বলেন, “একটা ন্যায্য লোকের নাম বাদ দেওয়া হলে আন্দোলন দিল্লিতেও হবে, বাংলাতেও হবে।”
এসআইআর-এর শুনানিতে কেন রাজনৈতিক দলের বিএলএ-দের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না, তার ‘ব্যাখ্যা’ দিলেন মমতা। তিনি অভিযোগ, “বিজেপির লোক নেই বলেই শুনানিতে বিএলএ-দের ঢুকতে দিচ্ছে না।” লোকের অভাবের জন্যই বিজেপি এজেন্সির মাধ্যমে কাজ করছে বলে দাবি মমতার।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) দিয়ে এসআইআর-এ ৫৪ লক্ষ লোকের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর অভিযোগ, কমিশনের অফিসে বিজেপির আইটি সেলের লোক বসে রয়েছে। নামের ইংরেজি বানানের রকমফেরের জন্য নাম বাদ দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ করলেন মুখ্যমন্ত্রী।
রাজ্যে এসে ফের ‘সোনার বাংলা’ গড়ার কথা বলেছেন অমিত শাহ। বাঁকুড়ার সভা থেকে কারও নাম না করেই মুখ্যমন্ত্রীর কটাক্ষ, “ভোট এলেই সোনার বাংলা গড়ার কথা বলে। সোনার বাংলা নয়, ধ্বংসের বাংলা গড়বে তোমরা।” এই প্রসঙ্গেই বিভিন্ন বিজেপিশাসিত রাজ্যে বাংলায় কথা বললে বাংলাদেশি বলে পরিযায়ী শ্রমিকদের উপর ‘অত্যাচারের’ প্রসঙ্গ উল্লেখ করেন মুখ্যমন্ত্রী।
মঙ্গলবার কলকাতায় সাংবাদিক বৈঠক করে শাহ বলেছিলেন, “বাংলার সীমান্ত দিয়ে যে অনুপ্রবেশ হচ্ছে, তা শুধু বাংলার বিষয় নয়। পুরো দেশের নিরাপত্তা সংক্রান্ত প্রশ্ন। এমন মজবুত সরকার এখানে আনুন, যারা এখানে অনুপ্রবেশ পুরোপুরি বন্ধ করে দেবে।” তার কিছু ক্ষণ পরেই শাহকে অনুপ্রবেশ নিয়ে পাল্টা তোপ দাগলেন মুখ্যমন্ত্রী। বড়জোড়ার সভা থেকে তিনি বলেন, “শুধু বাংলাতেই অনুপ্রবেশ হয়? কাশ্মীরে হয় না?” তার পরেই পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার প্রসঙ্গ তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, “পহেলগাঁওয়ে কী ঘটল, পহেলগাঁও কি আপনারা করেছিলেন?”
বিজেপিশাসিত বিভিন্ন রাজ্যে বাংলা ভাষায় কথা বললেই পশ্চিমবঙ্গের পরিযায়ী শ্রমিকদের উপর অত্যাচার করছে বিজেপি। এমনই অভিযোগ তুলে পদ্মশিবিরকে নিশানা করলেন মুখ্যমন্ত্রী।
“আমরা চাইলে আপনাকে এক পা-ও বেরোতে দিতাম না, কিন্তু এটা আমাদের সংস্কৃতি নয়।” রাজ্য সফররত অমিত শাহকে তোপ মুখ্যমন্ত্রীর।
সীমান্তে কাঁটাতার দেওয়ার জন্য বিএসএফ-কে রাজ্য জমি দিচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন অমিত শাহ। বাঁকুড়ার সভা থেকে সেই অভিযোগ খারিজ করে পাল্টা বিজেপিকে তোপ দাগলেন তিনি। বললেন, “আমি জমি না দিলে রেল, কয়লা প্রকল্প হল কী করে?”
এসআইআর-এর নামে গরিব সাধারণ মানুষকে অত্যাচার করা হচ্ছে।
বাঁকুড়ায় উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরলেন মমতা। ‘উন্নয়নের পাঁচালি’ গ্রামে গ্রামে ঘুরে প্রচারের কথা বললেন তিনি।
বাঁকুড়ার বড়জোড়ায় বক্তৃতা শুরু করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।